ঢাকাকে উড়িয়ে সিলেটের পাঁচে পাঁচ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৭ পিএম, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার
সিলেট স্ট্রাইকার্স বোলারদের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করলো ঢাকা ডমিনেটর্সের ব্যাটাররা। দুই দলের মুখোমুখি প্রথম সাক্ষাতেও দেখা গিয়েছিল একই চিত্র। চট্টগ্রামে এসেও ভাগ্য বদলাতে পারলেন না নাসির-আরিফুলরা।
ঢাকা পর্বে ২০২ রানের জবাবে সিলেটের বোলারদের সামনে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩৯ রান করতে পারে ঢাকা ডমিনেটর্সের ব্যাটাররা। হেরে যায় ৬৩ রানের বড় ব্যবধানে।
আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও প্রায় একই ভাগ্য বরণ করেছে দলটি। এদিন ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করতে পারে মাত্র ১২৮ রান। জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিলেট।
এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান শক্ত করলো মাশরাফির দল।
সাগরিকায় এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম পাওয়ারপ্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা, তুলতে পারে মোটে ৩২ রান। এক পর্যায়ে ৭৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসা দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাসির হোসাইন ও আরফুল হক।
দুজনের ৩০ বলে গড়া ঠিক ৫০ রানের জুটিতেই যা একটু মান বাঁচানো সংগ্রহ পায় ঢাকা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে শেষ বলে রান আউট হন অধিনায়ক নাসির। তার ৩১ বলের ইনিংসে ছিলো ৩টি চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মার। নাসিরের সঙ্গী আরিফুলের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২০ রান। সিলেটের বোলারদের মধ্যে ইমাদ ওয়াসিম ২০ রানে নেন ৩টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা দুর্দান্তই করেন সিলেটের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস ও নাজমুল হোসাইন শান্ত। দুজনে মিলে ৮ ওভারেই তুলে ফেলেন ৫২ রান। তবে এরপরই মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারসহ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দেয় ঢাকা।
এ অবস্থায় ইমাদ ওয়াসিমকে সঙ্গী করে দলকে ধীরে ধীরে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে আরিফুলের সরসরি থ্রোতে ইমাদ ওয়াসিম (১১) এবং তাসকিনের দুরন্ত ডেলিভারিতে মুশফিক (২৭) বোল্ড হয়ে ফিরলে অনেকটা চাপে পড়ে যায় সিলেট।
তাসকিনের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে তো রীতিমত কাঁপন ধরে যায় সিলেট শিবিরে। ওই একটার বেশি উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান কনসিড করাতেই শেষ দুই ওভারে সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০ রান।
এ অবস্থায় টাইট বোলিং দরকার ছিলো ঢাকার। তবে তারা সেটা করতে পারেনি। উল্টো ১৯তম ওভারটি করতে আসা সালমান ইরশাদকে দুই চার ও একটি ছয় হাঁকিয়ে ১৮ রান তুলে নেন সিলেটের দুই ব্যাটার থিসারা পেরেরা ও আকবর আলী।
এ দুজনের অপরাজিত ২৯ রানের জুটিতেই পাঁচে পাঁচ দান মারে সিলেট। পেরেরা ১১ বলে ২১ রানে এবং আকবর ৫ বলে ১০ করে অপরাজিত থাকেন। তবে ম্যাচ সেরা হন ২০ রানে ৩ উইকেট নেওয়া ইমাদ ওয়াসিম।
এই হারে চার ম্যাচে এক জয় নিয়ে পাঁচে অবস্থান করছে নাসিরের ঢাকা।
এনএস//