ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

জুন পর্যন্ত চাপে থাকতে পারে অর্থনীতি (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

অর্থনীতির ওপর বিদ্যমান চাপ জুন পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কঠিন হবে না বলছেন অর্থনীতিবিদরা। আর বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, বৈশ্বিক সংকটেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে পারলে সামনের দিনগুলোতে বিপদের আশঙ্কা থাকবে না। 

এ বছর বড় ধরনের বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো। এতে বিশ্বজুড়ে কমতে পারে ভোক্তা-চাহিদা।  

এমন বাস্তবতায় কিছুটা চাপে পড়তে পারে দেশের তৈরি পোশাক খাতে। যদিও গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপে বাড়ছে পোশাক রপ্তানি। অপ্রচলিত বাজারগুলোতেও রপ্তানির সূচক ঊর্ধ্বমুখী।  

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেক বড় খাত রেমিট্যান্সও ফিরেছে ইতিবাচক ধারায়। পশ্চিমা দেশগুলো থেকেও বাড়ছে রেমিট্যান্স। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রপ্তানি-রেমিট্যান্সের এই ধারা ঠিক থাকলে অর্থনীতির চাপ কমবে।  

অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “ডলার যদি কিছুটা দুর্বল হয় অথবা বৈশ্বিক জ্বালানি মার্কেটে যদি কিছু পরিবর্তন আসে, কেননা শীত উত্তর হয়ে গেলে ইউরোপের বাজারগুলোতে জ্বালানি চাহিদা কমে আসলে জ্বালানি মূল্য কমে আসার একটি বিষয় আছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে যদি যুদ্ধের ডামাঢোল কিছুটা কমে আসে- সেরকম প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয়ার্ধে হয়তো কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে। আশার কথা হলো, আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ভালো, মুদ্রাস্ফীতি কমে আসছে।”

অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা ব্যয় সাশ্রয়ের পরামর্শ তাদের। গ্রীষ্মকালে যাতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট না হয়, সেদিকেও সতর্ক থাকার কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা।  

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়টি যথেষ্ট কঠিন সময় যাবে। এখন হয়তো শীত বলে সেটা অনুভব করছি না, কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের সক্ষমতা দুর্বল হচ্ছে। ডলারের ঘাটতির জন্য অনেকগুলো পণ্য আমদানি করতে পারছিনা।”

এদিকে, অর্থনীতি ও সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছেন না বাণিজ্যমন্ত্রী। বলছেন, অর্থনীতির চাপ মোকাবেলায় কাজ করছে সরকার। 

বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “আমার বিশ্বাস, গ্লোবাল পরিস্থিতি যতো খারাপই হোক বাংলাদেশ ওই ব্যবস্থা থেকে ভালো থাকবে। তবে এমনটা নয় যে, আমরা খুব ভালো অবস্থায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো, ইম্পোর্টের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।”

বাজার নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে কৃষি-উৎপাদন বাড়ানোর বিকল্প নেই বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

এএইচ