পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঘুরে দাঁড়াবে বাঁশ-বেতের পণ্য (ভিডিও)
মীর মোঃ শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
প্লাস্টিক পণ্যের আধিপত্যে দিন দিন কমছে বাঁশ-বেতের তৈরি আসবাবপত্র-সহ বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা। উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে পণ্যের দাম না বাড়ায় কারিগরদের অনেকেই বদলে ফেলছেন পেশা।
কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে টিকতে না পেরে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেতের কুটির শিল্পটি এখন বিলীন হওয়ার পথে। তবুও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এখনও ১ হাজারেরও বেশি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
সদর উপজেলার বিরাসার, খৈয়াসার, মজলিশপুর এবং সরাইল উপজেলার মুলিহাটি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বংশ পরম্পরায় এ পেশাকে আঁকড়ে আছেন তারা।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের দারমা গ্রামেই রয়েছে শতাধিক পরিবার। বাজার থেকে বাঁশ কিনে তৈরি করছের পলো, ডালা, মুরগীর খাচা, মাছ ধরার চাই, টুকরীসহ নানা ধরনের জিনিস।
কারিগররা জানান, প্লাস্টিক সামগ্রীর সহজলভ্যতায় বাঁশ-বেত শিল্পের বাজার এখন আগের মতো নেই।
কারিগররা বলেন, “বাবা-দাদা এগুলো করেছেন। এখন প্লাস্টিক আসায় এগুলো কমে গেছে।”
পুঁজি সঙ্কটের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই বদল করেছেন পেশা। পৈত্রিক পেশা যারা এখনও আঁকড়ে আছেন, তারা ঐতিহ্যবাহী শিল্পটির সুরক্ষায় বাজার-সম্প্রসারণ, সহজশর্তে ব্যাংক ঋণসহ সরকারি নীতিসহায়তা চান।
তারা জানান, আগে সস্তা ছিল, এখন অনেক দাম হয়েছে। বাঁশ ছিল ১৫০ টাকা, এখন ৩০০ টাকা। আগের মতো পাওয়াও যায় না।
বাঁশ-বেতের কারিগরদের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৭টি জেলার ১১৭ উপজেলায় এই কর্মসূচি গতবছর থেকে বাস্তবায়িত হয়। এদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে পরিবেশবান্ধব বাঁশ-বেতের পণ্যের বাজার আবারও ঘুরে দাঁড়াবে, এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এএইচ