ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

কিশোর-কিশোরীরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন; কিশোর-কিশোরীদের ক্ষমতায়নে এবং বয়স-ভিত্তিক চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সম্ভবপর সবকিছু আমাদের করতে হবে। এই প্ল্যাটফর্মগুলো হচ্ছে বাংলাদেশে কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের প্রতিফলন।

এ দিন দুটি অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধন করা হয়। এ পোর্টালগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবা পেতে সক্ষম হবে।

ইউনিসেফ ও সুইডিশ দূতাবাসের সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চালু করা কৈশোর স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের লক্ষ্য হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের জন্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও সেবার সহজপ্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। কিন্তু তারা তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ও তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বাধার সম্মুখীন হয়। কেননা, মানসিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে একদিকে যেমন রয়েছে সচেতনতার অভাব, অন্যদিকে কমিউনিটিতে ব্যাপক মাত্রায় প্রচলিত রয়েছে এবিষয়ক নানা নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা ও কুসংস্কার। আর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, মেয়ে ও ছেলে উভয়ের জন্যই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও অত্যাবশ্যক সেবা খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, “বয়ঃসন্ধিকাল হলো একটি রূপান্তরের সময় যখন কিশোর-কিশোরীরা বিস্তৃত পরিসরে পৃথিবীর মুখোমুখি হয়, মুখোমুখি হয় নতুন চ্যালেঞ্জের। এই অ্যাপটি তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে, যেসব তথ্য তারা বাবা-মা, বন্ধু এমনকি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে সাধারণত লজ্জা পেয়ে থাকে।”

কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, পুষ্টি, সহিংসতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও জেন্ডার-ভিত্তিক - নির্দেশিকা ও কোর্সের পাশাপাশি কৈশর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে ও কোথায় পাওয়া যায় সে বিষয়ক তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

প্ল্যাটফর্মটির কথা প্রচার করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব, পিয়ার-গ্রুপ (বন্ধু-দল) এবং শিক্ষকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, “এই কৈশোর স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ মেয়ে ও ছেলের জীবন উন্নত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আনন্দিত।”

কেআই//