প্রকৃতির বন্ধু লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ (ভিডিও)
আবদুল আজিজ, কক্সবাজার থেকে
প্রকাশিত : ১২:১৫ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ১২:৩১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার
লাল কাঁকড়া, মাটিতে থাকা জৈব পদার্থের পরিবর্তন ঘটানো ছোট্ট একটি প্রাণী। মাটির লবণাক্ততা কমানো এবং পানিতে রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়তা করে এটি। প্রকৃতির অকৃত্রিম এই বন্ধু কাঁকড়া বাঁচাতে কক্সবাজারে উখিয়া বিচকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
ভোরের সূর্য উঁকি দিতেই আড়মোড়া ভাঙে লাল কাঁকড়ার। নিজেদের তৈরি করা গর্ত থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সুনীল সৈকতে। রূপোলি বালিতে ছোটাছুটি করে ওরা সোনালী রোদ্দুরে। ওদের পায়ের ছাপ অবারিত বালুকাবেলায় এঁকে চলে প্রাকৃতিক আলপনা।
তীক্ষ্ণ নখের ওপর ভর করে চলে লাল কাঁকড়া, উঁচিয়ে রেখে দু’টো শিং। সৈকতের চরে গর্ত করে থাকা এদের পছন্দ। মানুষের শব্দ পেলে ভয়ে দৌড়ে পালায় গর্তে। আর যখন নিরাপদ আশ্রয় পায় না তখন পা গুটিয়ে বসে।
মাটির ভৌত ও জৈব-রাসায়নিক গুণাগুণের পরিবর্তন ঘটিয়ে খাদ্য সংস্থান চেইনের বিভিন্ন জীব-অনুজীব ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকার মত পরিবেশ তৈরি করে এই লাল কাঁকড়া।
কক্সবাজারের উখিয়া বিচে দেখা যায় লাল কাঁকড়া। সংরক্ষণ করতে প্রায় ১ কিলোমিটার সৈকতকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে নাম রাখা হয়েছে ‘কাঁকড়া বিচ’। অস্থায়ী সীমানা প্রাচীর দেয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সৈকতের প্রতীক হয়ে ওঠা এই লাল কাঁকড়া।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজিব বলেন, “বিশেষ করে গাড়ি বা বাইক না নামতে পারে এর জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”
প্রতিদিন জোয়ারের পর ভাটায় পানি নেমে গেলে লাল কাঁকড়ায় পুরো সৈকত লাল বর্ণ ধারণ করে। এমন সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
তারা জানান, এই সুন্দর পরিবেশটা আগে ছিল না। এখন আস্তে আস্তে এটা বৃদ্ধি হচ্ছে।
সৈকতের পরিবেশ-প্রতিবেশ ঠিক রেখে লাল কাঁকড়া সংরক্ষণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের সভাপতি আ. ন. ম হেলাল উদ্দিন বলেন, “চমৎকার উদ্যোগ, এই ধরনের যদি আরও গ্রহণ করা হয় তাহলে পর্যটকরা আকৃষ্ট হবেন।”
উখিয়া সৈকতে লাল কাঁকড়ার এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য পর্যটন শিল্পে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
এএইচ