চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫২ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার
‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়। সংগৃহীত
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৭১টি দেশের সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের ৮১টি সিনেমা দেখানো হচ্ছে। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।
দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র নিয়ে জমে উঠেছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ৯ দিনের এ উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, শিশুতোষ চলচ্চিত্র, স্পিরিচুয়াল, ওমেন ফিল্মমেকারস, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র বিভাগে মোট ২৫২টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে। প্রতিদিন ৫টি ভেন্যুতে দেখানো হচ্ছে ১২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ১২৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র।
এবারের উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ) ও নৃত্যশালা মিলনায়তন, অঁলিয়াস ফ্রাঁসেজ মিলনায়তন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তন ও স্টার সিনেপ্লেক্স।
জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। সেখানে অভিভাবকরাও শিশুদের সঙ্গে এ চলচ্চিত্রগুলো বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকেল ৩টার প্রদর্শনী শিক্ষার্থীরা বিনামূলো দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে। এর বাইরে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য টিকিট মূল্য ৫০ টাকা। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূলো উপভোগ করতে পারবেন। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় আগে আসলে আগে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। আঁলিয়াস ফ্রাঁসেজ মিলনায়তনেও প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় এখানেও আগে আসলে আগে দেখবেন ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে।
এদিকে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নন্দন থিয়েটার (মুক্তমঞ্চ) ও নৃত্যশালার প্রদর্শনীগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় এখানেও একই প্রক্রিয়ায় আসন বণ্টন করা হয়। স্টার সিনেপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত প্রদর্শনীর বিনিময়ে দর্শকরা উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো উপভোগ করতে পারবেন। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে কেবলমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের উৎসবে আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বেলারুস, বসনিয়া-হার্জেগোভেনিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, চীন, ক্রোয়েসিয়া, কিউবা, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, কঙ্গো, মিশর, ইস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, প্যালেস্টাইন, জার্মানি, গ্রিস, গুয়েতেমালা, হাঙ্গেরি, ভারত, ইরান, ইরাক, ইতালি, জাপান, কাজাকস্তান, কসোভো, কিরগিস্তান, লেবানন, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মৌরেতানিয়া, মঙ্গোলিয়া, অস্টেনিগ্রো, নেপাল, নেদারল্যন্ডস, নরওয়ে, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, পর্তুগাল রোমানিয়া, রাশিয়া, রুয়ান্ডা, সার্বিয়া, সিঙ্গাপুর, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিরিয়া, তাইওয়ান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, ইয়াকুতিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে উৎসব চলাকালে নিয়মিত চলছে মিলনমেলা। যেখানে ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, সব্যসাচী চক্রবর্তীর মতো বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বসে গল্প আড্ডায় সময় অতিবাহিত করছেন।
এসি