রিস্ক লেন নির্মাণ, বদলাচ্ছে ফুটপাথ দখলের চিত্র (ভিডিও)
সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০৩:৩৫ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
মেয়র আনিসুল হক সড়কের অবৈধ পার্কিং নিয়ে একুশে টেলিভিশনে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচারের পর ব্যবস্থা নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ফুটপাথ দখল বন্ধ করতে নির্মাণ করা হয়েছে রিস্ক লেন। এর ফলে দখলের সেই পুরোনো চেহারা আর নেই। হাঁটার পথ ফিরে পেয়ে খুশি পথচারিরা। তবে এখনো মহাখালি বাস টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা যায়নি।
কিছু দিন আগেও প্রয়াত মেয়র অনিসুল হক সড়কের চিত্র এরকমই ছিল। ১শ’ ফিট সড়কের মাত্র একটি লেন ছাড়া সড়ক জুড়েই অবৈধ পার্কিং। ফুটপাথের সবটাই ছিল দখলে। এ নিয়ে একুশে টেলিভিশনে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচারের পর বদলাতে শুরু করেছে আগের চিত্র।
এখন নতুন চিত্র। পথচারিদের হাঁটার পথ উদ্ধার করে গ্রিল দেয়া হয়েছে। বন্ধ হয়েছে অবৈধ পার্কিংয়ের সুযোগ। এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলছেন পথচারিরা।
পথচারিরা জানান, যে কাজটা হয়েছে এটার মধ্যে ছোট ট্রাক ঢুকতে পারবেনা, তবে মিনি ট্রাক ঢুকে যেতে পারে। এ কাজটা অবশ্য প্রশংসনীয়, মানুষের চলাচলে অনেক সুবিধা হচ্ছে। দেখতেও সুন্দর লাগছে। আগে ট্রাকগুলো ফুটপাথ দখল করে থাকতো, হাঁটা যেতো না। এখন আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে।”
স্থানীয়রা বলছেন, এতো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা নানা অসুবিধার মুখে পড়তো।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক রিস্ক থাকতো। মানুষ আজেবাজে জিনিস খেয়ে ওখানে বসে থাকতো। ভয়ে যেতে পারতাম না। এখন সেই জিনিসগুলো নেই। সুন্দরভাবে হাঁটা যাচ্ছে।”
তারপরও কথায় বলে, চোরে না শোনে ধর্মের কথা- এই প্রবাদের বাস্তবতা ধরা পড়লো একুশের ক্যামেরায়। যে গ্রিল দিয়ে রিক্সা লেন ও ফুটপথ উন্মুক্ত করা হয়েছে তার ভিতরেও পার্কিং করার অপচেষ্টা। তবে, খুঁজে পাওয়া গেলো না অবৈধভাবে পার্কিং করা চালকদের।
এদিকে, এখনও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি মহাখালি বাসস্ট্যান্ডের। আগেও যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনই আছে। সবচেয়ে বেশি পার্কিং পরিবহন মালিক সমিতির শীর্ষ নেতার গাড়ির।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র জানালেন, পর্যায়ক্রমে অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা ডিজাইনের পরিবর্তন এনেছি, ওখানে দিয়ে রিক্সা ও সাইকেল চলতে পারবে। আর ফুটপাথ দিয়ে মানুষ চলতে পারবে। আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে আমরা চাই বিভিন্ন জায়গায় যে কাউন্টার হয়েছে সেগুলো ক্লোজ করে এক জায়গায় নিয়ে আসা হোক।”
সড়ক থেকে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করে দখল মুক্ত দেখতে চান রাজধানীবাসী। আর সেটা করা গেলে যানজট কমার পাশি পাশি পথচারিরাও স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলতে পারবেন।
এএইচ