সীমান্তে গোলাগুলি, রোহিঙ্গা সংকটে নতুন মাত্রা (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
মিয়ানমার সীমান্তের শূণ্যরেখায় গুলি বিনিময় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প জ্বালিয়ে দেবার ঘটনায় নতুন মাত্রা পেয়েছে রোহিঙ্গা সংকট। এমন বাস্তবতায় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে কোন ছাড় দেবে না ঢাকা। সাম্প্রতিক ঘটনায় বাংলাদেশের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রাজধানীতে সেন্টার ফর ইন্দোপ্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের সেমিনারে এই সংকট জিইয়ে রেখে ভারত মহাসাগরীয় কৌশল বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মত দেন রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক ও গবেষকরা।
বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ বাণিজ্যের বড় করিডোর ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর। বিশ্বের মোট জিডিপির ৪০ ভাগ আসে এখান থেকেই।
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এই সাগরে সরব উপস্থিতি রাখতে চায় প্রায় সব পরাশক্তিই। যুক্তরাষ্ট্র, চীন তো আছেই, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়াও আগ্রহ দেখাচ্ছে এই পথে।
বলা হচ্ছে, এই সাগরে শান্তি বজায় রেখে ব্যবসা বাণিজ্যের অগ্রগতিতে সব অংশীদারকে সমৃদ্ধ করা। কিন্তু এর প্রাণ কেন্দ্রে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন হয়ে শংকট বাড়াচ্ছে দিনকে দিন।
গেল ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাও নিজভূমে ফিরে যায়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও অনেকটা উদাসিন হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রের ঝনঝনানি শোনা যায় প্রায়শই। যা পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার লক্ষণ বলে মনে করছে, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
আবার, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্কের উপর আইপিএস-এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলেও মত দেন কোন কোন কূটনৈতিক। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইপিএসকে ব্যর্থ করতে রোহিঙ্গা সংকট কৌশলে সৃষ্টি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সব সময়ই শান্তি চায় উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বললেন, কাউকে আশ্রয় দিয়ে বোঝা টেনে উল্টো নিরাপত্তা শংকা বাড়াতে চায় না বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতির মধ্যে থেকেই সব ধরণের বাণিজ্যিক কৌশলে অংশ নেবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
এএইচ