লালদিঘী গণহত্যা দিবস: যেভাবে বেঁচে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৭ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
১৯৮৮ সালের এ দিনে (২৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গুলি চালানো হয়, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায়। সে সময় শেখ হাসিনাকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেন তার ২৪ জন একনিষ্ঠ নেতাকর্মী।
১৯৮৮ সালের এই দিনে লালদিঘী ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি করেছিল তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশ বাহিনী।
সে সময় শেখ হাসিনার ওপর গুলি করার সময় অসাবধানতাবশতঃ এক পুলিশ সদস্যের রাইফেলের কানেকশন বেল্ট খুলে পড়ায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেন্ড ব্যবধানেই গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
ততক্ষণে আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা মানবঢাল তৈরি করে শেখ হাসিনাকে কর্ডন করে আইনজীবী সমিতি অফিসে নিয়ে রক্ষা করেন। যদিও এর মধ্যে অকাতরে ঢলে পড়েন অনেক নেতাকর্মী।
সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ২৪ জন নেতাকর্মীর।
নিহতরা হলেন মো. হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডি কে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বি কে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাসেম মিয়া, মো. কাসেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত।
এ ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম এবং অধিকতর তদন্তশেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অভিযোগপত্রে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন তৎকালীন সিএমপি কমিশনার মীর্জা রকিবুল হুদা, কোতোয়ালী জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর (পিআই) জে সি মন্ডল, কনস্টেবল আব্দুস সালাম, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন। এদের মধ্যে তিন আসামি মারা গেছেন। ২০০০ সালের ৯ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি সাবেক ৫ পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এসবি/