ঢাকা, শনিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

গণ-অভ্যুত্থান দিবসে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবসের শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও বীর জনতাকে অভিনন্দন জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্র-গণমিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে মতিউর রহমান শহিদ হন। 

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানায় বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার বকশিবাজার এলাকার নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র তিনি তখন সচিবালয়ের সামনে হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছিলেন। এই আন্দোলনে অগণিত শহিদদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন এর চারদিন আগে আত্মদান করা শহিদ আসাদ এবং পরে শহিদ রুস্তম ও শহিদ মতিউর। পুলিশ ও ইপিআর অনেক লাশ গুম করাতে দেশব্যাপী আন্দোলনের অন্য শহিদদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। 

আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবিনামা পেশের পর ছাত্রদের ১১-দফা দাবি পেশ এই আন্দোলনকে আরো সুতীব্র করে। ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদসহ স্বাধিকারকামী রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত দাবির ও ব্যাপক গণ-আন্দোলনের মুখে এই আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান পরিণত হয়, চূড়ান্ত দমন-পীড়ন আর কারফিউ দিয়েও যাকে দমন করা যায়নি। পাকিস্তান সরকারের অগণতান্ত্রিক ও একরোখা অবস্থান তাদের পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটায়। এর পথ বেয়ে আসে রক্তাক্ত ও চূড়ান্ত মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি লাভ করে মহান স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে শহিদ মতিউরসহ ঊনসত্তরের নাম না জানা সব বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। সেই সাথে বীর জনতাকে গর্বিত অভিনন্দন জানাই তাঁদের সাহসী অবদানের জন্য।

এসি