ঢাকা, শনিবার   ১২ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৬ ১৪৩১

শার্শায় ভূমি উপ-সহকারী সাময়িক বরখাস্ত 

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার

যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা খায়রুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

শার্শার হরিনাপোতা মৌজার সরকারি স্বার্থযুক্ত সম্পত্তি দাখিলার মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে সরকারি স্বার্থ ক্ষুন্ন করার গুরুতর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। যা সরকারি কর্মচারি বিধিমালা ২০১৮ এর ২(খ), ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্নীতির সামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বিধিমালা মোতাবেক গত ১৮ জানুয়ারি থেকে তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। যার স্মারক নং- ০৫.৪৪.৪১০০.০০৫.১৬.০৭৬.২৩-৮১ (২৫)।

ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় দাখিলা প্রদানের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের টনক নড়ে। দীর্ঘ তদন্তের পর ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, শার্শার হরিনাপোতা মৌজার এসএ দাগ নং-৪৭৪ আরএস খতিয়ান ৭৭, দাগ নং-২১৩ জমির পরিমাণ ৩০ শতক। যা সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। কিন্তু সরকারি এ সম্পত্তির  কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা খায়রুজ্জামান সুকৌশলে আবু তাহের ওরফে আবু তালেব নামে এক মৃত্যু ব্যক্তির নামে খতিয়ানভুক্ত করেন। 

পরে ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর একটি খাজনার দাখিলা প্রদান করেন। দাখিলার ক্রমিক নং ৪১৯০২১০০০৩৬৯। দেখানো হয়েছে কৃষি জমি। 

এদিকে আবু তাহেরের ওয়ারিস সাহেব আলী দাখিলা সূত্রে পাওয়া এ সম্পত্তি একই সালের ২৬ অক্টোবর ওই গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। যার দলিল নং-৮৭৫২। দলিলের টোকেন নং- ৮৭৫৪।

লক্ষণপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে যশোরের জেলা প্রশাসক সরকারি জমির দাখিলা প্রদানের ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে।

অভিযোগকারী চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন বলেন, “ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সত্য। তিনি এখানে অনেক অনিয়ম এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এলাকার জমির মালিকরা তার দ্বারা অনেক হয়রানীর শিকার হয়েছেন। সে কারণে আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তদন্তে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসক মহোয়ের একপত্রে গত ১৮ জানুয়ারি তারিখ থেকে তাকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত চলছে। তদন্তের পরে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএইচ