ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে এসএস পাওয়ার (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

নির্দিষ্ট সময়ে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে এসএস পাওয়ার। ডলার সংকট ও কয়লার মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও শুরু হয়েছে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষামূলক উৎপাদন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়লা আমদানিসহ সব বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ এবং চীনের সেপকো থ্রি’র যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠছে এসএস পাওয়ার প্লান্ট। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭০ শতাংশের মালিকানা এস আলম গ্রুপের।

বেসরকারি খাতের বৃহত্তম উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসএস পাওয়ারের অবস্থান চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায়। বঙ্গোপসাগরের কোলে নৈসর্গিক পরিবেশে গড়ে ওঠায় এ যাবৎকালের পরিবেশবান্ধব কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে এসএস পাওয়ার। ইতোমধ্যে প্লান্টের একটি ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদনও শুরু করেছে। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে বিদ্যুৎ। চলছে কমিশনিং। 

এসএস পাওয়ারের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এপ্রিল-মে নাগাদ বাণিজ্যিক উৎপাদানে যাবে ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এসএস পাওয়ার-১ লিমিটেড প্রকল্প পরিচালক দীপঙ্কর মজুমদার বলেন, “ যেখান থেকে ধোঁয়াটা বের হবে সেই চিমনি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু, ২৭৪ মিটার। ভারতেও এর চেয়ে বেশি নেই।”

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গরম কালে বাড়তি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এসএস পাওয়ার। 

পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “আমাদের যে গ্যাস ও ডিজেলের উপর নির্ভরতা সেটা কমবে। সেই সঙ্গে আমাদের উৎপাদন ব্যয়ও কমে আসবে, উৎপাদন বাড়বে। ফলে গ্রহাকদের জন্য সার্বিকভাবে একটা স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।”

বিশ্বের সর্বাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার হওয়ায় এটি পরিবেশের ক্ষতি করবে না- দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।   

মোহাম্মদ হোসেন আরও বলেন, “পায়রায় যে রকম পরিবেশ এসএস পাওয়ারও একই রকম। গেলে হয়তো বোঝা যাবে না এটা কয়লা ভিত্তিক। এসএস পাওয়ার যখন উৎপাদনে আসবে তখন কয়লার কোনো সমস্যা হবে না।”

কয়লার দাম বেড়েছে বিশ্ববাজারে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও চাপে আছে। বিদ্যমান সংকট উৎরে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

পরিচালক আব্দুস সামাদ লাবু বলেন, “ইন্ডিয়াতেও খুব কম আছে, বাংলাদেশে আমরা প্রথম শুরু করেছি। আশা করি, এসএস পাওয়ার প্লান্ট চালু হলে দেশের বিদ্যুতের যে সংকট তা অনেকটা কমে আসবে।”

২৫ বছর চুক্তির আওতায় পিডিবির কাছে ন্যায্যমূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এসএস পাওয়ার। তাতে দেশের শিল্প ও কৃষিঅর্থনীতি যেমন চাঙা হবে তেমনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়ক হবে এসএস পাওয়ার। 

আব্দুস সামাদ লাবু বলেন, “বর্তমানে যেভাবে জ্বালানি সংকট ও মূল্য বাড়ছে তাতে কয়লাভিত্তিক ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। অনেক কম দামে জনগণকে আমরা দিতে পারবো, সরকার দিতে পারবে। যেহেতু সরকারের সঙ্গে আমাদের ২৫ বছরের চুক্তি।”

উৎপাদন সচল রাখতে পাওয়ার প্লান্টে প্রতিদিন ১৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লার দরকার হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ