ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

‘পদ্ম বিভূষণ’ পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু দিলীপ মহলানবিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:০১ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ভারতের প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ দিলীপ মহলানবিশ ‘পদ্ম বিভূষণ’ (মরণোত্তর)  পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে শরণার্থী শিবিরে কাজ করেছিলেন এবং অসংখ্য বাংলাদেশী শরণার্থীর জীবন বাঁচিয়েছেন।

ভারত সরকার বুধবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্যে পদ্ম পুরস্কারের মূলত তিন বিভাগে ‘পদ্ম বিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’ ও ‘পদ্মশ্রী’র জন্যে বেসামরিক ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করে।

দিলীপ মহলানবিশ ১৯৩৪ সালের ১২ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কিশোরগঞ্জ মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৫৮ সালে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্মাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

দিলীপ মহলানবিশ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশী শরণার্থীদের আশ্রয় নেয়া শিবিরে কলেরা ছড়িয়ে পড়লে এ রোগের চিকিৎসার জন্যে ওরাল রিহাইড্রেশান থেরাপির একজন পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠেন এবং ব্যাপক পরিচিতি পান।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিল্প, সমাজকর্ম, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও শিল্প, চিকিৎসা, সাহিত্য, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সিভিল সার্ভিসে বিশেষ অবদানের জন্যে ড. মহলানবিশসহ ৬ জনকে ‘পদ্ম বিভূষণ’, ৯ জনকে ‘পদ্মভূষণ’ এবং ৯১ জনকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৯ জন নারীও রয়েছেন। এছাড়া বিদেশী ক্যাটাগরি থেকে ২ জন এবং ৭ জন মরনোত্তর পুরস্কার পেয়েছেন।

ভারতের রাষ্ট্রপতি এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এসব পুরস্কার প্রদান করবেন। প্রতিবছর সাধারণত মার্চ-এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

৯০-র দশকের প্রথম দিকে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডায়রিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণের মেডিক্যাল বোর্ডের কর্মকর্তা ছিলেন। পরে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চের পরিচালকরূপে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। 

মহান এই চিকিৎসক ২০০২ সালে শিশুরোগ গবেষণার জন্য পোলিন পুরস্কার পান। ২০০৬ সালে তিনি প্রিন্স মাহিদোল পুরস্কার লাভ করেন।

(বাসস)

এএইচ