টপ এমপ্লয়ার ২০২৩ স্বীকৃতি পেল বিএটি বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
চতুর্থবারের মতো টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট এর ‘টপ এমপ্লয়ারের’ স্বীকৃতি পেয়েছে বিএটি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে কর্মীদের সার্বিক কল্যাণ, সাসটেইনেবিলিটি ও নেতৃত্বে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো নিশ্চিত করায় ‘গ্লোবাল ও এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন,’ উভয় শ্রেণিতেই এ পুরস্কার অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
কর্মীদের উৎকর্ষ সাধনে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদের স্বীকৃতি প্রদান করে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট। ১৯৯১ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে ১২১টি দেশের ২ হাজার ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করেছে তারা। কাজের পরিবেশকে সমৃদ্ধ করে এমন উদ্যোগ গ্রহণের প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করতে এ মূল্যায়ন করা হয়।
ইনস্টিটিউটটি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিএটি বাংলাদেশের যেসব বিষয় বিবেচনা করেছে তার মধ্যে রয়েছে, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মী সংক্রান্ত কৌশল (পিপল স্ট্র্যাটেজি), ক্যারিয়ার ও প্রবৃদ্ধির সুযোগ, কাজ সহজ করে তোলা, কর্মীদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা এবং নিয়োগকর্তার ব্র্যান্ডিং।
কর্মীদের পারফরমেন্সের ওপর গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের লিডার গড়ে তোলায় গুরুত্ব দেয় বিএটি বাংলাদেশ। পাশাপাশি, প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের বৈচিত্র্যকে প্রাধান্য দেয় এবং কর্মীরা যেনো ব্যক্তি ও টিম হিসেবে সফল হতে পারেন, এমন সহায়ক কর্ম পরিবেশ তৈরিতে জোর দেয়।
বিএটি বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান সাদ জসিম বলেন, “কর্মীদের সক্ষমতাকে বিবেচনা করে কর্মক্ষমতার প্রবৃদ্ধি ও নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দেই। পাশাপাশি, আমরা কর্মীদের জন্য কল্যাণসূচক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরিতেও কাজ করি।”
প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তাদের দক্ষতার বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করে বিএটি বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি এর কর্মীদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরিতে এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের মান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়।
বিএটি বাংলাদেশ ডিজিটাইজড ও কর্মী বান্ধব পরিবেশে এর উল্লেখযোগ্য অনুশীলনীগুলোর প্রতিফলন রয়েছে যেনো মেধাবীদের খুঁজে পাওয়া ও তাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়। কর্মীরা যেন সবসময় নতুন বিষয় শিখতে পারে, এজন্য নানারকম প্রশিক্ষণের আয়োজন ও অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মে তাদের জন্য শেখার সুযোগ তৈরি করে বিএটি বাংলাদেশ।
এছাড়াও, একটি সুন্দর আগামী বিনির্মানের উদ্দেশ্যে পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) বিষয়ক অনুশীলনী নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিতে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এসি
----
ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় ডিসিদেরকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
ক্ষমতার অপপ্রয়োগ নিশ্চিতে ডিসিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির নির্দেশ
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সরকারের বহুমুখী কার্যক্রম সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে 'জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৩' এর তৃতীয় দিনে জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্য এ নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, "নিজে দুর্নীতিমুক্ত থাকবেন . . . এবং অন্যরাও যাতে দুর্নীতির সুযোগ না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন"।
দুর্নীতিকে দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় অন্তরায় উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, দুর্নীতির কারণে টেকসই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তাই মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, "আশা করি আপনারা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব ও ক্ষমতার পার্থক্য সচেতনভাবে বজায় রাখবেন।"
জনকল্যাণে ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে ডিসিদেরকে তাদের মেধা ও দক্ষতা ব্যবহার করার ও নির্দেশনা দেন আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, জেলা প্রশাসকরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশাত্মবোধ ও একাগ্রতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাবেন।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, ২০৩০-এর মধ্যেই বাংলাদেশ এসডিজির সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে “আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশে” পরিণত হবে।
জেলা প্রশাসনের কর্ণধার ও সেবক হিসেবে জনগণের দোরগোঁড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়ার অর্পিত এ গুরুদায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সম্মানিত সদস্যদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মূল্যবান পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে ডিসিদেরকে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপতি।
হামিদ বলেন, “জনগণের সেবা দেয়া আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য . . . এটাকে দয়া বা অনুগ্রহ মনে করার কিছু নেই।”
করোনাকালে ও পরবর্তীতে করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন আর্থিক ও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্যদ্রব্য, ভোজ্য তেল ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ জাতীয় জীবনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদেরকে সব সময়ই জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা দেন।
এসি