প্রযুক্তি ব্যবহারে শুদ্ধাচার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের কাজকে সহজবোধ্য করে দিয়েছে। যে কোনো সেবা এখন ঘরে বসেই পাওয়া সম্ভবপর হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহারে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আইসিটির ব্যবহার অনেকাংশে বেড়েছে এতে বিক্রেতা এবং ক্রেতা দুজনেই উপকৃত হচ্ছেন। আইসিটি ব্যবহার করে অফিসের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পুরো পৃথিবী এখন প্রযুক্তির উৎকর্ষতার দখলে। তাই প্রযুক্তি নির্ভরতা মানুষের জীবনে গতি এসেছে ঠিকই কিন্তু অতিমাত্রায় ব্যবহার মানুষকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে ফেলছে। নির্বিচারে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনি আমাদের শুদ্ধাচার নীতি মেনে চলা উচিত।
সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’কে স্বাগত জানানো উচিত। স্বাভাবিকভাবেই শুদ্ধাচারী জাতি নির্মাণে শুদ্ধাচারের চর্চা শুরু হতে হবে পরিবার থেকে। কারণ ব্যক্তির শুদ্ধাচার চর্চার লালনভূমি তার পরিবার। পরিবারে শুদ্ধাচারের চর্চা শুরু হলে তা ছড়িয়ে পড়বে চারপাশে, সমাজে। তার প্রভাব পড়বে জাতীয় জীবনে।
‘শুদ্ধাচারী’ হতে হলে ব্যক্তির আচার-আচরণে করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। আন্তরিকতার সাথে যিনিই এগুলো অনুসরণের চেষ্টা করবেন, নিঃসন্দেহে তিনি হয়ে উঠবেন পরিশীলিত ভালো মানুষ। তিনিই হয়ে উঠবেন শুদ্ধাচারী। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে এই নীতি মেনে চলা উচিত। এবার জানবো প্রযুক্তি ব্যবহার ক্ষেত্রে কেন শুদ্ধাচারী হওয়া জরুরি। আমরা শুধুমাত্র প্রয়োজনে আমরা প্রযুক্তির সহযোগিতা নেব।
প্রযুক্তি ব্যবহার করুন শুধু প্রয়োজনে
বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ প্রযুক্তি। প্রযুক্তি মানুষের জীবনের গতি ও স্বাচ্ছন্দ্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। প্রযুক্তিকে যত নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, তত আপনি নিজের কল্যাণের পাশাপাশি করতে পারবেন মানুষের কল্যাণ। সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন আরো উচ্চতর স্তরে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে শুদ্ধাচার মেনে চলুন, সচেতন হোন-
১. লাউড স্পিকারে কথা বলার আগে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির অনুমতি নিন। এ প্রান্তের কারো অসুবিধা হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখুন।
২. ভিডিও কল রিসিভ করার আগে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বুঝে নিন।
৩. সময় জানার জন্যে মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে হাতঘড়ি ব্যবহার করুন।
৪. লাউডস্পিকারে কথা বলা, গান শোনায় অন্যদের অসুবিধা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।
৫. ব্যক্তিগত ছবি স্ক্রিন সেভার/ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহারে সংযত থাকুন।
৬. বিনা অনুমতিতে ফোনকল বা ভিডিও কল রেকর্ড করবেন না।
৭. স্মার্টফোনে যে-কোনো পাসওয়ার্ড/ পিন নম্বর লিখে রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
আপনি যদি প্রযুক্তি আসক্ত হয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যান, তাহলে আপনি একদিকে ভুগবেন মনোদৈহিক রোগে; অন্যদিকে হয়ে উঠবেন বিষণ্ণ, নিঃসঙ্গ। একাকিত্ব অস্থিরতা হতাশা মানুষকে সমাজবিমুখ করে নিয়ে যায় আত্মহননের পথে। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তিকে দৃঢ়ভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন। প্রযুক্তি ব্যবহার করুন শুধু প্রয়োজনে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি যদি শুদ্ধচার নীতি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার জীবনে প্রযুক্তি আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কেআই//