পর্দা নামলো ষোড়শ জাতীয় পিঠা উৎসবের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
রাজধানীতে পর্দা নামলো ষোড়শ জাতীয় পিঠা উৎসবের। শেষদিনেও প্রতিটি স্টল ঘিরে ছিল পিঠাপ্রেমী মানুষের উপচেপড়া ভীড়। একঘেঁয়ে শহুরে জীবনে গ্রামীণ আবহের বর্ণিল এই উৎসবে যোগ দেয়া নাগরিকরা জানান প্রাণের উচ্ছ্বাসের কথা।
শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মাঠ জুড়ে চলছে বাহারি পিঠা-পুলি খাওয়ার ধুম। চিরপরিচিত দুধ চিতই কিংবা ক্ষীর পায়েসের বাইরে বিক্রমপুরের কাঁঠাল পোয়া, পালং পনির, ইলিশ পিঠা, রাজশাহীর বিখ্যাত কালাই রুটি, আন্দাশা, হাঁসভুনা কিংবা দুধরাজ, ফুলঝুরি- এমন আকর্ষণীয় সব নামের পিঠায় ও ঘ্রাণে ভরে উঠেছিল অর্ধশত স্টল।
বাহারি সাজে সেজে-উৎসবের আমেজে কেউ আসেন বন্ধুবান্ধব নিয়ে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে। পিঠা উৎসব হয়ে উঠে পারিবারিক আড্ডা ও বন্ধুবান্ধবের মিলনমেলায়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ আয়োজনের এ উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্যোক্তারা নিয়ে আসেন কয়েকশ’ ধরনের পিঠা।
রাজধানীতে বসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিজস্ব সংস্কৃতি ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নানান স্বাদের পিঠা খেতে পেরে আনন্দিত উৎসবে আগতরা।
আবহমান গ্রামীণ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে এ পিঠা উৎসব। প্রতিদিন স্টলগুলোতে বেচাকেনা হয় অর্ধকোটি টাকার পিঠা।
শেষ দিনে সেরা পিঠাশিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়।
এএইচ