ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

সম্পাদক ও কলামিস্ট জব্বার হোসেনের জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০২ এএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ সোমবার

কলামিস্ট ও সম্পাদক জব্বার হোসেনের জন্মদিন আজ। পুরো নাম এ. কে. এম. জব্বার হোসেন। মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করছেন দীর্ঘদিন। নারী পুরুষ সমতার সংগ্রামে কাজ করছেন নিরন্তর। লেখালেখির মাধ্যমে সামাজিক, ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার তিনি।

সাংবাদিকতার শুরু সাপ্তাহিক ২০০০ এর মাধ্যমে, শাহাদত চৌধুরীর হাত ধরে। সাপ্তাহিক ২০০০-এ সহকারী সম্পাদক এবং সাপ্তাহিক-এ সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। 

সম্পাদক হিসেবে পরিচিতি পান নাঈমুল ইসলাম খান প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক কাগজ’ ও ‘মিডিয়াওয়াচ’ এর মাধ্যমে। ‘দৈনিক আমাদের অর্থনীতি’ ও ‘দৈনিক আমাদের নতুন সময়’ -এর উপ-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। 

বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন সংবাদ মাধ্যম ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক হিসেবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘আপনার স্বাস্থ্য’ এর প্রধান সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।

মানবাধিকার ও নারীবাদ বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই। লৈঙ্গিক রাজনীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও মৌলবাদ বিষয়ক একাধিক সেমিনার, বক্তৃতায় অংশ নিয়েছেন দেশ ও দেশের বাইরে। যৌনতা ও প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের নিয়েও তার গবেষণাপত্র রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

অনলাইন মিডিয়ায় জব্বার হোসেন পরিচিত নারীবাদী কলামিস্ট হিসেবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নারীবাদী সংস্থা ‘দ্য ফেমিনিস্ট ডট কম’ এর সম্মানিত সদস্য তিনি। তার নারীবাদবিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে ‘নারীর শক্র?’ উল্লেখযোগ্য। পার্ল পাবলিকেসন্স থেকে তার প্রকাশিত বই ‘নারীর শৃঙ্খল’ ও ‘নারী বিরোধী মিডিয়া’, যার ভূমিকা লিখেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। ‘অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার’,‘একজন আদর্শ মানুষ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল’ তার আলোচিত সাক্ষাৎকার গ্রন্থ। তাছাড়া সম্পাদনা করেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। 

২০১৩ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেসকো জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডে জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে কানাডিয়ান জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডে জুরি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য ছিলেন। যুক্ত ছিলেন বন্ধু মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ডের সঙ্গেও।

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সাংবাদিকতার জন্য পুরস্কার। এছাড়া নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছে। 

সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ শেষ করেন এই গুণী সাংবাদিক। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাঁর বাবা ফজলুল হোসেন গণপূর্ত বিভাগের একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।
কেআই//