ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মোংলা ইপিজেডে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৪৩ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ১০:১১ এএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

মোংলা ইপিজেডের ভারতীয় কোম্পনি ভিআইপি’র লাগেজ কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ। এই অগ্নিকাণ্ডে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভিআইপি’র কর্মকর্তারা।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় লাগা ভয়াবহ এ আগুন রাতভর নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিটের কর্মিরা। 
 
‘ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেট’র হেড অব এইচআর মোঃ মিজানুর রহমান খান বলেন, “সোমবার দুপুরে মোংলা ইপিজেডে তাদের ৯টি কারখানার মধ্যে ১ নম্বর কারখানাটিতে সর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোংলা, বাগেরহাট ও রামপালের আটটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে গেলেও ততক্ষনে কারখানাটি পুড়ে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “এসময় কারখানাটিতে থাকা লাগেজ তৈরি কাঁচামালসহ তৈরি লাগেজ ছিল। যা বেশ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রে রপ্তানির অপেক্ষায় ছিল। এছাড়া এ কারখানায় রাসায়নিক আঠা,পলিথিন জাতীয় দাহ পদার্থ ও হাই ভোল্টেজ মেশিনারিজ যন্ত্রপাতিও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে মোট ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

এই ক্ষতি উল্লেখ করে মোংলা থানায় সন্ধ্যায় একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ভিআইপির কর্মকর্তা মিজানুর আরও বলেন, পৃথিবীর একমাত্র বড় এক লাখ ১১ হাজার বর্গ ফুটের এ লাগেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে কর্মরত তাদের ৭০০ শ্রমিক নিরাপদে দ্রুত বেরিয়ে এসেছে। এজন্য কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ভারতীয় কোম্পানি ভিআইপি ইন্ডাষ্ট্রি বাংলাদেশ বিনিয়োগ শুরু করে। শুরুতে তারা ছয়টি কারখানা দিয়ে পণ্য উৎপাদনে যায়। এখন তাদের ৯টি কারখানা রয়েছে এখানে। এসব কারখানায় ব্যাগ এন্ড লাগেজ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের সব দেশে এখানকার উৎপাদিত লাগেজ রপ্তানি করা হয়।

মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ‘ইপিজেডের ভেতরে ভিআইপির ১ নম্বর কারখানাটিতে আগুন লেগে অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (হিসাব) আবুল হাসান মুন্সিকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। এরপর ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে’।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোংলা ইপিজেডের একটি সুতার কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

এএইচ