প্রজন্ম ৭১ এর কিশোরগঞ্জ শাখা গঠিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪০ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার
মুক্তিযুদ্ধের শহীদ সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম ৭১ এর কিশোরগঞ্জ জেলার আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে গত ৩ ফেব্রুয়ারি জেলায় এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউস হলরুমে এক সভার মধ্যদিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মোঃ হারুন আল রশীদকে আহবায়ক করে ১৩ সদস্যের কমিটি গঠক করা হয়েছে।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি আসিফ মুনীর, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস, সহ সভাপতি শেখ সালমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুজহাত চৌধুরী শম্পা ও মোঃ বশির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী মোর্তুজা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য শিবলী মোহাম্মদ, কাজী সাইফুদ্দিন ওয়ালিদ ও একেএম তারেক সোহাগ।
আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার পর প্রজন্ম ৭১ এর সদস্যরা শহরতলীর সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়িঘাট বধ্যভূমি ও
বরইতলা বধ্যভূমিতে শহীদরে স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
একইদিন বিকেলে স্থানীয় সুধিজনদের সংগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভার
সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত জেলা আহবায়ক কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক সাইফুর রহমান খান।
হারুন আল রশীদের উপস্থাপনায় মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম. এ আফজল, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আব্দুর রহমান রুমী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের সভাপতি হাবিবুর রহমান মুক্তু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আসাদুল্লাহ, শহীদজায়া ও বীর
মুক্তিযোদ্ধা উষা রাণী দেবী, শহীদ তনয় ও দৃশ্যপট ৭১ এর সম্পাদক জাহাংগীর আলম জাহান, জেলা ঘাতক দালাল
নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি মায়া ভৌমিক,
কিশোরগঞ্জ থিয়েটার ফোরামের সভাপতি কোহিনূর আফজল, মুক্তিযোদ্ধা তনয় সৈয়দা ফারহানা ইসলাম শিখা
প্রমুখ।
সভায় বক্তারা, সমাজের চারপাশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে
প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তাগণ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের
দোসরদের দ্বারা সংঘটিত বর্বর জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি ১৯৭২ সালের সংবিধানের
পূর্ণ বাস্তবায়ন দাবি করেন।
এসবি/