দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়বে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক
আশরাফ শুভ, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৬ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ০৮:৩৯ এএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আগামী ২৫ বছরে দেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুয়ায়ি, ২১০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এতে আর্থ-সামাজিক ক্ষতি দাঁড়াবে মোট জিডিপির ২ শতাংশ। এছাড়া দেশজুড়ে বাড়বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং লাগামহীন কার্বন নিঃসরণের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। যার মূল্য চুকাতে হচ্ছে পুরো বিশ্বকে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো।
ঝুঁকিপূর্ণ এই সব দেশের তালিকার উপরের দিকে রয়েছে বাংলাদেশের নামও। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, বর্তমান অবস্থা বহাল থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। এতে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা।
এতে আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই দেশের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ বাস্তচ্যুত হতে বাধ্য হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এমনটা হলে ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সব সবচেয়ে বেশি অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এ অবস্থায় একদিকে যেমন দেশে বাড়বে দারিদ্র্যের হার। অন্যদিকে বাধাগ্রস্ত হবে দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম। বিশ্ববাংকের হিসাব অনুযায়ী, এতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষতি দাঁড়াবে মোট জিডিপির ২ শতাংশ।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ধনীদেশগুলো ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় ভবিষ্যতে ক্ষতি সামাল দিতে বিপাকে পড়বে বাংলাদেশের মতো অসংখ্য দেশ।
তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা আরও বাড়ানোর তাগিদ বিশ্বব্যাংকের।
এএইচ