ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চাহিদার তুলনায় বেশি আমদানি, রমজানে দাম কমার প্রত্যাশা (ভিডিও)

একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার

আসন্ন রমজানে ছোলা-ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুরসহ কয়েক শ্রেণির পণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে প্রত্যাশা চট্টগ্রামের পাইকারী ব্যবসায়ীদের। এবার ডলার সংকটে আগে ভাগে ঋণপত্র খোলা নিয়ে জটিলতা থাকলেও সেটা এখন কেটে গেছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়তি থাকলেও রমজানে সহনীয় থাকবে বলে আশা তাদের। 

ইফতারের অন্যতম উপকরণ হচ্ছে ছোলা। দেশে বছরে ছোলার চাহিদা প্রায় পৌনে তিন লাখ টন। রমজানেই প্রয়োজন হয় এক লাখ টনের বেশি। এই পণ্যটি আমদানি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, তানজানিয়া ও ভারত থেকে। ছোলার পাশপাশি রমজানে মসুরের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে এক লাখ টনে উন্নীত হয়। একইভাবে খেজুরের সরবরাহ বাড়বে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। 

ব্যবসায়ীরা জানান, আশা করছি এবারের রমজানে ছোলার সংকট হবে না। কিছু মাল ইতিমধ্যে গোডাউনে উঠেছে আর আসার পথে আছে কিছু মাল। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায দামটা একটু বেশি। যে পরিমাণে এলসি হচ্ছে ওই পরিমাণে দিতে পারছে না। ডলারের কারণে সিপিং জটে পড়ে আছে। গত বছরের তুলনায় এবার খেজুরের দাম ১০-১৫ শতাংশ বাড়তি। 

আপাতত ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম কমে যাওয়ায় রমজানে চাহিদার তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি আমদানি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। 

খাতুনগঞ্জের মেসার্স সবুজ কমার্শিয়ালের সত্বাধিকারী শাহেদ উল আলম বলেন, “আসন্ন রমজানে পাইকারী বাজারে যে চাহিদা তার চেয়ে বেশি মাল আমদানীকারকদের রয়েছে। রমজানে তেলের কোনো সংকট থাকবে না।”

রমজানের প্রতিটি পণ্যের আমদানি ও সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়লেও চিনি নিয়ে চিন্তা কাটছে না। 

মেসার্স আর এম এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী আলমগীর পারভেজ বলেন, “ভোজ্যতেলে কোনো সংকট হবে না কিন্তু এলসি শিথিল করা হলেও চিনির সংকট হতে পারে। গ্যাসের কারণে অনেক মিল সরবরাহ করতে পারছেনা। ফলে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে চিনির বাজার কি হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”

বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেল-চিনি এবং ছোলাসহ বেশির ভাগ ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রয়াদেশের চেয়েও নিচে নেমে এসেছে। তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে তার প্রভাব পড়ছেনা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঋণপত্র জটিলতার কারণে আমদানি কম হওয়ায় দাম কমছে না। তবে জানুয়ারি থেকে ঋণপত্র খোলার অনুমতি পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 

এএইচ