কর প্রশাসন ও নীতি প্রণয়নকারি প্রতিষ্ঠান আলাদা করার সুপারিশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার
রাজস্ব সম্মেলনের আয়কর বিষয়ক সেমিনারে কর রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি ও করনেট সম্প্রসারণে কর প্রশাসন এবং কর নীতি প্রণয়নকারি প্রতিষ্ঠান পৃথকীকরণ, তৃণমূল পর্যায়ে কর অফিস স্থাপন, ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানো ও ভীতিমুক্ত কর ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ বেশ কিছু সুপারিশ উঠে এসেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলানগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন-২০২৩ উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিল্ড এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি এম এ মোমেন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক আসিফ আশরাফ ও এনবিআর সাবেক সদস্য মো. আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে ‘আয়কর ব্যবস্থার ক্রম বিকাশ ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আয়করের ভূমিকা’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন এবং ‘আয়কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর কমিশনার মো. ইকবাল বাহার।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। তাই অর্থনীতির এই বিকাশমান ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে দেশে ভীতিমুক্ত কর ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। বন্দরে পণ্য খালাস থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও করদাতাদের সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি কর কর্মকর্তা ও করদাতাদের মধ্যে সম্প্রীতির সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব, যার ফলে নতুন করদাতা তৈরি হবে ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, কর সংগ্রহকারি বা কর প্রশাসন ও কর নীতি-নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান আলাদা করা জরুরি। তবে সেটা কিভাবে করা যায়, সেটি বড় প্রশ্ন। করদাতাদের ট্যাক্স রিফান্ড করার ক্ষেত্রে এখনও অনেক জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে
তিনি বলেন, এই জায়গায় অব্যশই উন্নতি করতে হবে। করদাতার জমানো টাকা পরিশোধে বিলম্ব করা যাবে না।
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ভীতিমুক্ত কর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর কর কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এনবিআরের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, বিভিন্ন করাঞ্চলে করমেলা আয়োজনের মাধ্যমে করদাতাদের জন্য করসেবা অনেক সহজ করা হয়েছে।
এসি