ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সব আদালত বর্জন আইনজীবীদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণের দাবি আদায় না হওয়ায় ফের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আদালত বর্জন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। এতে আদালতাঙ্গনে নতুন করে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। 

আজ বুধবার সকাল থেকে কোন আদালতেই বিচারিক কাজে অংশ নেননি আইনজীবীরা। এসময়ে সমিতি ভবনে অবস্থান নিয়ে সময় অতিবাহিত করেন তারা। 

এতে করে দূরদূরান্ত থেকে আগত বিচার প্রত্যাশীরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

কর্মসূচির শেষ দিন তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় পুরো আদালত বর্জনের ডাক দেয় আইনজীবীরা। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা শেষে এই ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা। 

তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আইনমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আইনজীবীরা জেলা জজ আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ আদালত ছাড়া বাকি আদালতে যাওয়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু আইনমন্ত্রী আশ্বস্ত করার পরও বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়। 

এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। 

এছাড়াও বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করে উচ্চ আদালত। 

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বৈঠকের পর দুটি আদালত বাদে বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।

এএইচ