রাতে তুরস্কে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৫ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি উদ্ধারকারী দল আজ তুরস্কে যাচ্ছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানবাহিনীর সি-১৩০ বিমানে করে রাত ১০টায় তারা তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করবে। ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রেরিত সম্মিলিত সাহায্যকারী দলের সাথে পাঠানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ জন উপপরিচালক, ২ জন সহকারী পরিচালক, ১ জন উপসহকারী পরিচালক, ১ জন সিনিয়র স্টেশন অফিসার, ১ জন লিডার এবং বাকি ৬ জন ফায়ারফাইটার।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে দেশটির সরকার থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে তুরস্কে একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ১২ সদস্যের এই উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত করেছেন। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা সবাই বিধ্বস্ত ভবনে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ পরিচালনার বিষয়ে আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ নির্দেশনায় সম্মিলিত উদ্ধারকারী দলের সাথে ফায়ার সার্ভিসকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা সম্মানিত বোধ করছি। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০১৫ সালে নেপালে সংঘটিত ভূমিকম্পে পর্যবেক্ষক হিসেবে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের উদ্ধারকারী দলের এটিই প্রথম বিদেশ গমন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির ও পেশাদারিত্বের এটি একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জন্য একটি অভাবনীয় স্বীকৃতি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিটি সদস্য এজন্য গর্ব বোধ করছে। আমি বিশ্বাস করি, ফায়ার সার্ভিসের সকল সদস্য নিজের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দেবেন।
এমএম/