ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৭ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১ জনে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে কয়েক হাজার সদস্য।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত অকতের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। অন্যদিকে, সিরিয়ায় কমপক্ষে ৩ হাজার ৩৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতের এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তারা আশংকা করছেন।

বিধ্বস্ত শহরগুলোতে বহু মানুষ এখনও আশ্রয়হীন। তাদের কাছে নিরাপদ খাবার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে, এই পরিস্থিতিতে ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া আরো অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

ডাব্লিউএইচও অনুমান করছে, তুরস্ক এবং সিরিয়াজুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন।

দুটি দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।

ইস্তাম্বুলের একজন তুর্কি সাংবাদিক ইব্রাহিম হাসকোলোলু বলেছেন, “লোকেরা এখনও (ধসে পড়া) ভবনের নিচে রয়েছে, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন।”

তিনি বিবিসি নিউজকে বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আটকে পড়া লোকজন তাকে এবং অন্যান্য সাংবাদিকদের ভিডিও, ভয়েস নোট এবং তাদের লাইভ অবস্থান পাঠাচ্ছে।

তারা আমাদের বলছে যে তারা কোথায় আছে এবং ‘আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না,’ হাসকোলোলু বলেছেন, তুরস্কের জন্য এখন প্রয়োজন সমস্ত আন্তর্জাতিক সহায়তা।
 
উল্লেখ্য, সোমবার ভোররাতে গাজিয়ানটেপের কাছে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় প্রায় বেলা দেড়টার দিকে আরও একটি ৭.৫-মাত্রার ভূমিকম্প হয়। কর্মকর্তারা বলেছেন যে এটি ‘আফটারশক’ ছিল না।

সোমবার পর পর দুটি ভূমিকম্পের পর তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে পর পর কয়েকটি শক্তিশালী আফটারশক ও কম্পন আঘাত হেনেছে।- বিবিসি বাংলা, আল-জাজিরা
এসএ/