ঢাকা, রবিবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৮ ১৪৩১

ফিডার রোড চালু হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম নগরী (ভিডিও)

একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ০১:১৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার

চট্টগ্রাম আউটার রিংরোড চালু হওয়ায় বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কে যানজট কমতে শুরু করেছে। তবে ব্যস্ত মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য কোন স্পিড ব্রেকার, ওভারপাস বা আন্ডারপাস এবং স্ট্রিট লাইট না থাকায় আশেপাশের বাসিন্দাদের ভোগান্তি বেড়েছে। মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় ফিডার ১ এর সম্প্রসারণ কাজ আটকে আছে সাত-আট বছর। 

চট্টগ্রামের উপকূলীয় বাঁধ শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস থেকে শহরকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ২০১৬’র জুনে আউটার রিং রোডের কাজ শুরু হয়। দুই হাজার ৬৭৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটির কাজ শেষ না হলেও ২০২১ সাল থেকে যান চলাচল শুরু হয়।

ভূমি বা বাড়ির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে পারছে না প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- সিডিএ। ফলে আটকে গেছে ছয় লেনের ফিডার রোডের সম্প্রসারণ কাজ। 

বাড়ির মালিকেরা বলেন, “আমাদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। বাপ-দাদার ভিটাবাড়ির বুক দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে নৃশংসভাগে নিয়ে গেল। ক্ষতিপূরণ দিবে দিবে বলে আজ আট বছর হয়ে গেছে।”

তবে সিডিএ বলছে, আট বছর আগেই ক্ষতিপূরণের টাকা জেলা প্রশাসনে জমা দেয়া হয়েছে। ভুয়া কাগজ বানিয়ে কিছু মামলা হওয়ায় প্রকৃত মালিকদের একটি বড় অংশ ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। যদিও হাইকোর্টে এমন মামলা সম্প্রতি খারিজ হয়েছে। 

প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “এ মামলার কারণে যারা টাকা পায়নি তারা তাদের জমি ছাড়তে চাচ্ছেন না। কিন্তু আমরা এই জমির টাকা ডিসির কাছে দিয়ে রেখেছি। ওই মামলা শেষ হয়ে গেলে ডিসি তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন।”

নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেয় জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা। এ শাখার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের মো. আবু রায়হান দোলন ক্যামেরার সামনে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি বলছেন, একটি স্বার্থান্বেষি মহলের মামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছেন না।

আউটার রিং রোডের সবগুলো ফিডার রোড পুরোদমে চালু হলে বদলে যাবে চট্টগ্রাম নগরীর যানজটের চিত্র। এ সড়কটি চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে চট্টগ্রাম বন্দর, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীসহ মেগা সব প্রকল্পের। 

এএইচ