টরেন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৬ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০১:৫০ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার
কানাডার টরোন্টোতে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় টরোন্টোর ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শাহরিয়ার খান, এঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরেক শিক্ষার্থী কুমার দে। যিনি জনপ্রিয় গায়ক কুমার বিশ্বজিতের ছেলে।
এদিকে জানা গিয়েছে, ছেলের দুর্ঘটনার খবর শুনে মঙ্গলবার রাত ১১টার কানাডার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী নাইমা সুলতানা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিবিড় আইসিইউতে রয়েছে। বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় তার মেজর অপারেশন হয়েছে।
টরেন্টো পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে কুমার নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। গাড়ির চালক এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সেখানে একটু কার্ভ ছিল। হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি ৩ বার উল্টে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করে। গাড়ির পেছনের সিটে বসা দু’জনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। সামনের সিটে বসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান।
টরোন্টোর পুলিশ এক টুইট বার্তায় হতাহত চারজনই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বলে নিশ্চিত করেছেন। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২১ বছর বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিপি২৪ অনলাইন জানায়, চারজন যাত্রী নিয়ে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে ৪২৭ সাউথ বাউন্ড হাইওয়ে ডানডাস এক্সিটের দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিলো। পথে গাড়িটি র্যাম্প ছেড়ে একটি কংক্রিটের প্রাচীরের উপর দিয়ে খাদে গিয়ে পড়ে এবং অন্য কংক্রিটের দেওয়ালে লেগে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ি থেকে চারজনকে উদ্ধার করে। গাড়ির পেছনের সিটে বসা দু’জনকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়। সামনের সিটে বসা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হলে সেখানে তিনি মারা যান।
কুমার দে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে জানান গেছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় টরেন্টোতে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোক বিরাজ করছে।
এসএ/