টানা তিনদিনের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড়
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার
সাপ্তাহিক ও শবে মেরাজের ছুটিসহ টানা তিনদিনের ছুটিতে সুন্দরবনের করমজলে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। আগত পর্যটকরা ট্রলার ও লঞ্চযোগে বনের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়িয়ে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
আজ (শনিবার) পর্যটকদের ভীড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার থেকেই এই ভীড় বাড়তে শুরু করে। আগামীকাল রোববার শবে মেরাজের ছুটিতে এই চাপ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন করমজল পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
করমজল পর্যটন স্পটে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় সুন্দরবনে ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনির্বান মহলদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, “তাদের অভিজ্ঞতা খুবই চমৎকার। শুধু বই পড়ে পড়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায় না। এখানে না আসলে বুঝতেই পারতাম না সুন্দরবন আসলেই কত সুন্দর। পরতে পরতে বৈচিত্র আমাদেরকে হাতছানি দিয়েছে সর্বক্ষণ। সিদ্ধান্ত নিয়েছি তিনদিন এখানে থেকে আরও ভালভাবে সুন্দরবনকে দেখবো। অনেক কিছু শেখার রয়েছে এখান থেকে।”
ঢাকার মুন্সিগঞ্জ থেকে করমজলে বেড়াতে আসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পান্না বেগম বলেন, “পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় অতি অল্প সময়ে আমরা পরিবারের সবাই মিলে সুন্দরবন ভ্রমণে আসতে পেরেছি। সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি সবে মেরাজের ছুটি পেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। পদ্মাসেতুর কল্যাণে এখানে আসতে সময় লেগেছে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা।”
যশোর থেকে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা কয়েকজন ক্ষুদে স্কুল শিক্ষার্থীরা জানায়, সুন্দরবনে এসে তারা সকলেই খুব খুশি। ওয়াচ টাওয়ারে চড়ে তারা অনেক দূর পর্যন্ত সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে মানচিত্র, যা দেখে সহজেই বোঝা যায় সুন্দরবনের মধ্যে বিরাজমান খালগুলোকে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তারা খুবই আশ্চার্যন্বিত হয়েছে।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সাপ্তাহিক ও শবে মেরাজের টানা ছুটিতে করমজলে পর্যটকদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। ছুটির প্রথমদিনে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রায় তিন হাজার পর্যটক এসেছেন এখানে।
পদ্মাসেতুর সৌভাগ্যে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীকাল শবে মেরাজের ছুটিতেও পর্যটকদের চাপ আরও বাড়বে। টানা ছুটির এই তিনদিনে অন্যান্য দিনগুলোর থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আয়ও হবে। করমজল ছাড়া সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের ভীড় বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, টানা তিনদিনের ছুটির প্রথম দিন শুক্রবার সকাল থেকে অন্তত ১৫০টিরও বেশি ট্রলার ও লঞ্চ সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এসব নৌযানে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। মূলত সাপ্তাহিক ও শবে মেরাজের ছুটি উপলক্ষ্যে বেশি সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমণ ঘটছে বলে জানান তিনি।
এএইচ