সুখবর নেই বাজারে, লাফিয়ে বাড়ছে পণ্যের দাম (ভিডিও)
মিনালা দিবা, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৭ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার
বাজারে সুখবর নেই। সব ধরনের মসলার ঝাঁজ বেড়েছে। সব ধরনের ডালের দামও বাড়তি। কোনো কারণ ছাড়াই মোড়কজাত সকল পণ্যেরই দাম বাড়ছে। আর ব্রয়লার মুরগীর দাম গরীবের নাগাল ছাড়া।
রমজানের আগেই বেড়ে গেছে প্রায় সব পণ্যের দর। খোলা পোলাউর চাল প্রতি কেজি দেড়শ’ টাকায় ঠেকেছে। মোড়কজাত চালের দর আরও বেশি।
ব্যবসায়ীরা জানান, পোলাউর চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো এবছর উৎপাদন কম হয়েছে। ভালো মানের এককেজি পোলাউর চাল ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
অ্যাঙ্কর ডাল কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বুটের ডাল ও ইন্ডিয়ান মুসুরের দাম এখন ১০০ টাকা।
দোকানদাররা জানান, মোটা ডাল প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে।
মসলার বাজারও গরম। এলাচের দাম প্রকারভেদে কেজি প্রতি এক থেকে ২শ’ টাকা বেড়েছে। এছাড়া, দারুচিনি, তেজপাতা, গোলমরিচ, লবঙ্গসহ প্রায় সব মসলার দামই বাড়তি।
মসলার ব্যবসায়ীরা জানান, ১৮ টাকা থেকে বেড়ে ২৫শ’ টাকা হয়েছে এলাচের কেজি। আর লবঙ্গ ১৫শ’, গোলমরিচ ৭৫০ টাকা।
প্যাকেটজাত প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে অকারণেই।
বাজারের দোকানদার জানান, হলুদ-মরিচের কেজির প্যাকেটে বেড়েছে ৬০-৭০ টাকা করে।
ক্রেতারা জানান, বেতনের সঙ্গে বাজারের কোনো মিল নেই। খরচ চালাতে পারছিনা ছেলেমেয়েদের।
লাফিয়ে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। আর সোনালী ৩২০ ও দেশি মুরগী ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রয়লার বিক্রি করে আসছিলাম ২১০ টাকা দরে। আজকে কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে ২৩০ টাকা করে। পাকিস্তানী জাতের মুরগি গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি ২৯০-৩শ’ টাকায়। এ সপ্তাহে বিক্রি করছি ৩১০-৩২০ টাকা ধরে।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ আর খাশির মাংসের দর কেজিতে ১১০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
এএইচ