রাশিয়াকে মারণাস্ত্র সহায়তা দিতে পারে চীন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার
যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে চীন রাশিয়াকে মারণাস্ত্র সহায়তা দিতে পারে। পশ্চিমা বিশ্বের কাছে যাতে ধরা না পড়ে, সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব চীন এ কাজটি করতে চায় বলে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন।
সংশ্লিষ্ট মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা চীনের ‘বিরক্তিকর’ আচরণে এমন লক্ষণ দেখতে পেয়েছেন। খবর সিএনএনের।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা চীন ঠিক কী ধরনের বিরক্তিকর আচরণ করছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। তবে বলেছেন, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে এবং তারা চলমান মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে তথ্য বিনিমিয় করেছে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ বিষয়ে চীনা শীর্ষ কূটনীতিবিদ ওয়াং ই’র সঙ্গে আলোচনা করেছেন। জার্মানির মিউনিখ শহরে চলমান মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় এক বৈঠকেও তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে পদ্ধতিগত নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে বস্তুগত সহায়তা প্রদান করলে এর প্রভাব এবং পরিণতি সম্পর্কে বেশ স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’
এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দেয়া ভাষণে মিত্র দেশগুলোকে চীনের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে সহায়তা দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেইজিং মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করেছে।’
কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘আগামীর দিকে তাকিয়ে আমরা বলতে পারি, রাশিয়াকে প্রাণঘাতী সহায়তা দেয়ার জন্য চীনের যেকোনো পদক্ষেপ কেবল রুশ আগ্রাসনকেই পুরস্কৃত করবে, হত্যা চালিয়ে যাওয়া এবং একটি নিয়মভিত্তিক বিশ্ব ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করবে।’
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, চীন মুখে শান্তির কথা বললেও বাস্তবে কাজের বেলায় ঠিক উল্টো। তারা বলেছেন, ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াং ই জানিয়েছেন, চীন রাশিয়া- ইউক্রেন সংকট নিরসনে একটি ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে কাজ করছে এবং ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার কথা ভাবছে। অথচ তারাই আবার রাশিয়াকে মারণাস্ত্র সহায়তা দেয়ার কথা ভাবছে।
তবে ওয়াং ই বলেছেন, ‘এই যুদ্ধকে আর সামনে বাড়তে দেয়া যায় না। আমাদের এমন উপায়ের কথা ভাবতে হবে, যা আমাদের এ যুদ্ধ বন্ধ করার সুযোগ দেবে।’
এমএম/