চুড়িহাট্টা ট্রাজেডি: সরেনি কেমিক্যালের গুদাম বরং বেড়েছে
রাসেল খান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৩ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ০৮:৫৫ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার
পুরোন ঢাকার কেমিক্যাল গুদাম আজও সরেনি। বরং গোডাউনের সংখ্যা বেড়েছে। চুড়িহাট্টা ট্রাজেডির পর ঘটেছে একাধিক আগুনের ঘটনা। জনাকীর্ণ এলাকায় নতুন রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বসবাসের যোগ্যতা হারাবে ঐতিহ্যবাহী পুরোন ঢাকা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে দশটা, চতুর্মূখী সড়কে ছিল তীব্র যানজট। এদিক-ওদিক যাওয়া-আসার সব রাস্তা বন্ধ। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে লাগা আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
ততক্ষণে সব পুড়ে ছাড়খার। চুরিহাট্টার মৃত্যুপুরিতে তখন বাঁচার আকুতি, আর্তচিৎকার। উদ্ধার হয় শিশুসহ ৬৭টি মৃতদেহ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও চারজন।
চুরিহাট্টার সব কিছুই এখন স্বাভাবিক। আগের মতোই ঘিঞ্জি, যানজট আর অপরিকল্পনার অক্টোপাসে মিশে গেছে সবাই। অথচ ৭১টি তাজা প্রাণের বিনিময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সবাই। রাসায়নিকের গুদাম সরানোর দাবি ছিল সবার মুখে।
যে রাসায়নিকের আগুনে চুড়িহাট্টা হয়েছিল মৃত্যুপুরি, সেখানে এখন সংখ্যা বেড়েছে গুদামের।
ঘটনার পর স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী সুপারিশ করেছিল ফায়ারসার্ভিস। যার বেশিরভাগই এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।
চুরিহাট্টার মতো আর কোনো ট্রাজেডির মুখোমুখি যেনো হতে না হয় তার জন্য এখনই অপরাধীদের রাশ টানার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এএইচ