বাংলায় লেখার আদেশ কার্যকর হয়নি নয় বছরেও (ভিডিও)
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
সাইনবোর্ড বা নামফলক বাংলায় লিখতে আদালতের আদেশ নয় বছরেও কার্যকর হয়নি। সাইনবোর্ডে এখনও বাংলা হরফ নিশ্চিত করা যায়নি। দেশের অনেক জায়গাতেই দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইংরেজিতে লেখা বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে। সবক্ষেত্রেই বাংলা প্রচলনের দাবি সচেতন মহলের।
ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিতের উপর জন্ম ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্রের।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩০ কোটি মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। বিশ্বসাহিত্যেও বাংলার স্থান গৌরবের।
এই গৌরব দেশের মানুষকে ঠিক কতটা নাড়া দেয়? বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইনবোর্ডে ইংরেজির দৌরাত্ম্য, বিশ্ববিদ্যালয়-বিপণি বিতান-হাসপাতালের নামতো বটেই হরফেও ইংরেজির বিলাসিতা।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য এই বাংলাদেশে বিভিন্ন সাইনবোর্ডগুলোতে বাংলাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।”
ভাষা শহীদ বরকতের ভাতিজা মো. আইন উদ্দিন বরকত বলেন, “প্রতিটা সাইনবোর্ডের উপরে বড় বড় অক্ষরে বাংলা তারপর নীচে ছোট করে ইংরেজি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু দেখা গেছে, সাইনবোর্ডগুলোর উপরে বড় বড় অক্ষরে ইংরেজিতে লেখা, নীচে ছোট করে বাংলায় লেখা।”
২০১৪’র ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বরপ্লেট, সরকারি দপ্তরের নামফলক এবং গণমাধ্যমে ইংরেজি বিজ্ঞাপন ও মিশ্র ভাষার ব্যবহার বন্ধ করতে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। এতোদিন পরে এসেও বদলায়নি চিত্র।
ইংরেজি পড়তে না পেরে বিপাকে পড়তে হয় অনেককেই। ভিনদেশী ভাষার হরফে লেখার দায় কোম্পানির ওপরই চাপালেন দোকানিরা।
দোকানিরা জানান, প্রত্যেকটা ব্রান্ড বাইরের দেশ থেকেই নিয়ন্ত্রণ হয়। যেহেতু ইংরেজি ইন্টারন্যাশনাল ভাষা সেহেতু ইংরেজিতেই লেখা হচ্ছে। কোম্পানি বিভিন্ন সাইনবোর্ড সরবরাহ করে আসছে।
সবক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার সম্পর্কিত নির্দেশনার বিষয়ে সচেতন করার পরেও ফল না আসলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে প্রশাসন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, “সিটি কর্পোরেশনে যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে আসেন তখন আমরা তাদেরকে অনুরোধ করে থাকি।”
শুধু সাইনবোর্ডই নয় সবক্ষেত্রেই বাংলা ব্যবহারের দাবি বিশিষ্টজনদের।
লেখক জিতু কবীর বলেন, “বাংলা ভাষার ব্যবহার এখন পর্যন্ত সর্বত্র ব্যবহার হচ্ছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখের এবং লজ্জাকর।”
এএইচ