ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ঋণের বোঝায় রুগ্ন পাটশিল্প, তহবিল চান মালিকরা (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

শতভাগ দেশীয় কাঁচামালে ব্যবসা পরিচালনা করেও অন্যান্য শিল্পের মতো স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না পাটকল মালিকরা। এমনকি, সব মহলের ঐক্যমত থাকলেও এতোদিনেও পৃথক তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া আটকে আছে অজ্ঞাত কারণে। রুগ্ন শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে জুট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড গঠনের দাবি বেসরকারি খাতের পাটকল মালিকদের সংগঠন বিজেএমএ’র। 

তৈরী পোষাক খাত। রপ্তানী বাণিজ্যের বড় একটা উৎসে পরিণত হয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। 

যদিও মেশিনপত্র, তুলা, সূতা, কাপড়সহ সব উপকরণই আমদানী নির্ভর। এত ব্যয়ের খাত নির্বাহ করা গেছে স্বল্প সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করে দেয়া রপ্তানী উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ’র কারণে। যেখানে থেকে শতকরা ২ ভাগ হারে সুদে ব্যাংক ঋণ নিতে পারে পোষাক কারখানার মালিকরা। 

কিন্তু, বাস্তবতা হলো পাটশিল্পে এ ধরণের সহায়ক ব্যবস্থা একবারেই নেই। সরকারি বাদ দিলে বেসরকারি পাটকল আছে ২শ’ ২৬টি। উল্টো ব্যাংক ঋণের বোঝা টানতে টানতে নাজেহাল পাটকল মালিকরা। 

শিল্পের পরিপূর্ণ কাঁচামালের যোগান দেশীয় উৎস থেকে হলেও পৃথক তহবিল না থাকাকে বৈষম্যমূলক বলছেন পাট ব্যবসায়ীরা। এখন শতকরা ৯ ভাগ সুদের সঙ্গে চক্রবৃদ্ধি মিলিয়ে ১২ ভাগের উপর সুদ গুনতে হয় ব্যাংক ঋণের।

বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশনের মহাসচিব এ বাকের খান বলেন, “আমরা ১২ শতাংশ সুদে পাটপণ্য তৈরি করি আর তারা ২ শতাংশ হারে ঋণ নিয়ে রপ্তানি করেন। তাদের সঙ্গে কিভাবে পারবো আমরা।”

বিজেএমএ সচিব বাবুল চন্দ্র রয় বলেন, “সেই টাকা দিয়ে কাঁচামাল কিনে ব্যাগ তৈরির পর বিদেশে রপ্তানি করলে যে দামটা পড়ে সেই দামে বায়াররা কিনতে চায় না। তারা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন।”

তৈরি পোষাক খাতে বিদ্যমান রপ্তানী উন্নয়ন তহবিল ইডিএফ’র মতো পাটখাত উন্নয়ন তহবিল বা জেডিএফ গঠনের প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের। আর, সম্ভব না হলে ইডিএফ’র বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে নতুন এক বা একাধিক ধারা যুক্ত করে পাটশিল্পের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত করার দাবি তাদের। 

বিজেএমএ চেয়ারম্যান আবুল হাসান বলেন, “আমরা আশাবাদি। ফান্ড গঠনের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই বলে আসছেন যে জুটে কেনো ইডিএফ দেওয়া হয় না।”

পাট শিল্পের জন্য প্রকৃতপক্ষে কিছু করতে চাইলে আগে শিল্পের সুরক্ষা দিতে হবে। সেটা করা গেলে সোনালী আশের সুদিন ফিরবে বলে মনে করে ব্যবসায়ীরা। 

পাটে সুদিন প্রকৃতপক্ষে ফেরাতে চাইলে সহনীয় শর্তে কম সুদে ঋণ প্রদানের প্রস্তাব করছেন ব্যবসায়ীরা। 

এএইচ