মুখোমুখি বাইডেন-পুতিন, হুমকি পাল্টা হুমকি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রশংসা করলেও ভ্লাদিমির পুতিন আগের চেয়ে কঠোর ভাষায় ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদেরই দায়ী করলেন।
শুক্রবারই বর্ষপূর্তি হবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে চলতি সপ্তাহে।
পুতিন প্রথমে কথা বলেছেন। তার দাবি পশ্চিমারা ইউক্রেনকে একটি নতুন নাৎসি রাজত্বে পরিণত করেছিলো যেটি ছিলো ‘রাশিয়া-বিরোধী’।
এর কয়েক ঘণ্টা পর বাইডেন তার ভাষণে বলেন যে, স্বৈরশাসকরা একটি শব্দই বুঝতে পারে : “না, না না!”
তিনি বলেন, “পুতিন ভেবেছিলেন বিশ্ব গুটিয়ে যাবে, তিনি ভুল ছিলেন”।
তিনি জোর দিয়েই বলেন যে নেটো এখন আগের চেয়েও বেশী ঐক্যবদ্ধ। কিয়েভ শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে এবং মুক্ত, আর ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমাদের সহায়তা ব্যর্থ হবে না।
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশোতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেই ডুডা বলেছেন কিয়েভ সফরে এসে বাইডেন প্রমাণ করেছেন যে মুক্ত বিশ্ব কাউকে ভয় পায় না।
নেটোর ভূমিকা হলো মুক্ত বিশ্বকে সুরক্ষা দেয়া ও সমর্থন করা এবং ইউক্রেন ‘অবশ্যই যুদ্ধে জয়লাভ করবে’।
অন্যদিকে পুতিনের বক্তৃতায় ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অগ্রগতির বিষয়টি ছিলো খুবই কম এবং কবে এই যুদ্ধ শেষ হবে তারও কোনো ইঙ্গিত ছিলো না।
পুতিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে ‘নিউ স্টার্ট’ নামের চুক্তিটি স্থগিত করেছেন। দেশ দুটির মধ্যে এটিই একমাত্র পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ চুক্তি। ২০২১ সালে এটির মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
নেটো ও যুক্তরাজ্যের নেতারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য তাকে অনুরোধ করেছেন। তবে পুতিন নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বছর অবশ্য তিনি রাশিয়া ও এর ভূখণ্ডকে রক্ষার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থাই নেয়ার কথা বলেছিলেন।
রাশিয়ার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, “তারাই যুদ্ধ শুরু করেছে.. আমরা তা বন্ধের জন্য শক্তিপ্রয়োগ করছি।”
এদিকে, ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা সেনা মোতায়েন না করা হলেও মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্র-নেটোর মিলিটারি ও উপকরণ’ ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বলেছেন তিনি।
পুতিন অতীতে অসংখ্যবার পশ্চিমা দেশসমূহ এবং নেটোকে ইউক্রেনে হামলার জন্য দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি রুশ সেনাদের ইরাক যুদ্ধ ও ব্রেলগ্রেডে বোমা বর্ষণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধের রাশিয়ার ভূমিকা বা জর্জিয়ায় আগ্রাসন কিংবা ক্রাইমিয়ার ভূমি দখল নিয়ে কিছু বলেননি।- বিবিসি বাংলা
এসএ/