ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

রাজশাহী নগর এখন অন্যদের জন্য অনুকরণীয় (ভিডিও)

আকবর হোসেন সুমন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

রাজশাহী এখন গ্রিন সিটি-ক্লিন সিটি। পদ্মা প্রবাহের প্রাচীন এ শহর এখন অন্য নগরের জন্যও অনুকরণীয়। 

খরস্রোতা পদ্মা শুকিয়ে গেলে ধুলিধূসর রাজত্বে পরিণত হতো উত্তর সীমান্তের ঐতিহ্যবাহী জনপদ রাজশাহী। 

নিকটদূরে রাজশাহী শহর শিক্ষানগরী আখ্যা পেলেও নব্বইয়ের দশকে এটি ছিল জঞ্জালের নগরী। ছিল না সবুজ, উল্টো পদ্মার লু হাওয়ায় আক্রান্ত ছিলেন নগরবাসী। 

সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনায় শহর হয়েছে সবুজ, আর নগরবাসী পেয়েছে অক্সিজেনের প্রবাহ। সবমিলে নিরলস বসবাসের তালিকায় উঠে এসেছে এই শহরের নাম।  

নগরের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে ছড়ানো প্রশস্ত সড়ক। রাস্তাজুড়ে পরিকল্পিত বৃক্ষরাজি। ফলে সবুজ হারানো শহর এখন সবুজায়নের দৃষ্টান্ত।  

প্রায় ৯৭ বর্গকিলোমিটারের জনপদ রাজশাহীতে ১২ লাখেরও বেশি মানুষের বাস। প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সমন্বিত অবকাঠামো বদলে দিয়েছে নগরের সৌন্দর্য। 

রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “মাঝখানের মিডলেনে সবুজ গাছ ও ফুলের গাছ। তারপর ২ লেন এরপর রয়েছে ফুটপাত। অর্থাৎ রাস্তায় মাটি থাকবে যে মাটি শুষ্ককালে ধূলো হবে বর্ষায় কাঁদা হবে- এই সুযোগটা আমরা কমিয়ে ফেলেছি।”

দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল রয়েছে এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে। তরুণদের কর্মসংস্থানে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক এবং জয় সিলিকন টাওয়ার রাজশাহীকে যোগ করবে আলাদা মাত্রা। ব্রিটিশ আমলের রেশমনগরী রাজশাহীর সিল্ক নতুন করে তুলে ধরতেও বদ্ধপরিকর স্থানীয় প্রশাসন। 

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “এখানে ভারি ও মাঝারি ধরনের শিল্পকারখানা বাস্তবসম্মত নয়। এখানে হতে পারি ক্ষুদ্র, কৃষিজাত দ্রব্যের শিল্প হতে পারে। এখানে সেগুলো প্রচুর পরিমাণে হয়।”

যখন চীনের দুঃখ ছিল হুয়াংহো নদী তখন রাজশাহীরও কষ্ট ছিল পদ্মাকে ঘিরে। সেই পদ্মার পার ঘিরেছে নান্দনিকতায়। তবে শুষ্ক মৌসুমে এখনও মেলে না পানির হিস্যা। বর্ষায় স্রোতের অভাবে জমে পলির স্তর। তাই নাব্যতা ফেরাতে তৎপর নগরপিতা। 

মেয়র লিটন বলেন, “বর্ষার সময় যখন তারা গেট খুলে দেয় তখন যে পানিটা আসে সেই পানিতে কোনো স্রোত না থাকলেও প্রচুর পরিমাণে পলি থাকে। সেই পলি জমে প্রতিবছর একটু একটু করে উঁচু হতে হতে অনেক উঁচু হয়ে গেছে। ফলে নদীর ধারণক্ষমতা একেবারেই নেই। এই পলি উঠানো হলে নদীর ধারণ ক্ষমতা বাড়বে এবং বর্ষার পানি আমরা দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবো।”

সবমিলে ইতিহাস ঐতিহ্যের রাজশাহীকে অনন্য অপরূপ মানবিক শহরে পরিণত করতে চান  খায়রুজ্জামান লিটন। 

এএইচ