ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

এই কাজগুলো সচেতনভাবে বিরত থাকুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

অনেকেই দৈনন্দিন জীবনে এমন কিছু কাজ করে, যেগুলো নিজের ব্যক্তিত্বহীনতার পাশাপাশি অন্যের জন্য বিব্রতকর হয়। অনেক ক্ষেত্রে নিজেকেও পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। কিন্তু একটু সচেতন হলেই সম্ভব এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকা।

চলুন জানা যাক, কোন কোন কাজ থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকা উচিত...

> চেহারা, গায়ের রং, গড়ন নিয়ে মন্তব্য করে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলা।

> ভয় দেখানো বা চমকে দেয়ার উদ্দেশে নানাবিধ শব্দ ও অঙ্গভঙ্গি করা বা গায়ে হাত দেয়া।

> কাউকে বোকা বানিয়ে বা অপ্রস্তুত করে ‘এপ্রিল ফুল’-এর মতো বিকৃত আনন্দে মেতে ওঠা।

> অনুমতি ছাড়া অন্যের পোশাক ও জুতো-স্যান্ডেল পরা। অন্যের টুথব্রাশ চিরুনি রুমাল গামছা ব্যবহার করা।

> উপহাস বা ব্যঙ্গ করে কাউকে উপনাম বা বিকৃত নামে ডাকা। নিম্নবিত্ত বা বয়সে ছোট কাউকে তাচ্ছিল্য বা তুচ্ছার্থে ‘তুই-তোকারি’ করা।

> কোনোকিছু ছুড়ে মেরে, শিস দিয়ে, তুড়ি বা তালি বাজিয়ে বা ‘এই যে’ বলে কারো দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা।

> খোঁচা দিয়ে, চিমটি কেটে, পায়ে পা লাগিয়ে, জামা টেনে ধরে কারো মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করা।

> ধমকে বা সজোরে ধাক্কা দিয়ে ঘুম থেকে ডেকে তোলা।

> দেয়ালে পা ঠেকিয়ে হেলান দেয়া-কোমরে হাত দিয়ে বেঁকে দাঁড়ানো।

> কোনোকিছু দামি−এটা বোঝানোর জন্যে তা নাড়াচাড়া করা। নিজের পরিধেয়-ব্যবহৃত কিছু দেখিয়ে অন্যকে তার মূল্য অনুমান করতে বলা।

> পোশাক ক্রোকারিজ ফার্নিচার মোবাইল অলংকার গাড়ি বাড়ি অর্থাৎ নিজের যে-কোনোকিছুর মূল্য, ব্র্যান্ড ও তার বৃত্তান্ত নিজ থেকেই অন্যকে বলা-জাহির করা।

> কারো দিকে অপলক তাকিয়ে থাকা।

> অকারণে কাউকে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা।

> রসিকতা করে অন্যের টুপি, মাফলার বা স্কার্ফ খুলে নেয়া।

> মতের অমিল হলে তর্ক জুড়ে দেয়া।

> গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়ানো। লাইনে পা মাড়িয়ে দেয়া, কনুই দিয়ে গুঁতো দেয়া, ধাক্কা দেয়া, গায়ে হাত দেয়া।

> পা দিয়ে কারো জুতো-স্যান্ডেল সরানো।

> অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া শিশুদের ছবি তোলা।

> কোনো প্র্রতিমা-মূর্তির দিকে আঙুল উঁচিয়ে দেখানো এবং এ নিয়ে হাসাহাসি বা নেতিবাচক মন্তব্য করা।

> কারো পোশাকে চা-কফি পড়ে গেলে বা কেউ পিছলে পড়লে বা হোঁচট খেলে তাকে সাহায্য না করে তা নিয়ে মজা করা।

এমএম/