ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় সয়াবিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৭ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৩৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সাম্প্রতিক সময়ে যে কয়েকটি খাদ্য নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে, সয়াবিন তার মধ্যে অন্যতম। সয়াবিন আমাদের কাছে ভোজ্য তেলের উৎস হিসেবে পরিচিত হলেও, নানা গবেষণা ও উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা একে একটি পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

সয়াবিন হলো প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। শরীরের জন্যে অতি প্রয়োজনীয় (এসেনশিয়াল) ৯টি এমাইনো এসিডের সবগুলোই রয়েছে এতে। এ-ছাড়া সয়াবিন থেকে তৈরি খাবার ও সয়াদুধে রয়েছে কোলস্টেরলমুক্ত অসম্পৃক্ত চর্বি (আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড) এবং হৃৎপিন্ডের জন্যে উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।

এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স (বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৯)। রয়েছে প্রচুর আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

সয়াবিন রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদরোগ আর স্ট্রোকের ঝুঁকি  কমায়। এ-ছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। সয়াবিন হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ করে। মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি-পরবর্তী জটিলতা দূর করে।

ক্যালসিয়ামের জন্যে যারা গরুর দুধ খান, তাদের ক্ষেত্রে সয়াদুধ হতে পারে গরুর দুধের সার্থক বিকল্প। সয়াদুধে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফ্যাট সোডিয়াম পটাশিয়াম ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ কপার আয়রন জিংক ও ক্যালসিয়াম যা সম্পূর্ণ কোলেস্টেরলমুক্ত। বাজার থেকে সয়াবিন কিনে ঘরে নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন সয়াদুধ।

সয়াদুধ তৈরির নিয়ম

২৫০ গ্রাম সয়াবিন ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পানি ফেলে দিয়ে তাতে পুনরায় এক লিটার পানি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ডার না থাকলে পাটায় পিষে নিতে পারেন। দুধ তৈরি হলে পাতলা কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে নিন। এরপর কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল সয়াদুধ। সয়াদুধ গরম কিংবা ঠাণ্ডা যে-কোনোভাবে খেতে পারেন। 

সয়াদুধের নিজস্ব কোনো ফ্লেভার নেই। তাই আপনার পছন্দমতো ফল কিংবা বাদাম মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মজাদার পানীয়।

এ-ছাড়াও সয়াবিন সবজিতে দিয়ে মটরশুঁটির মতো রান্না করে খেতে পারেন। অল্প পরিমাণ সয়াবিন ৪-৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ঘষে সয়াবিনের বাইরের আবরণটি তুলে ফেলে দিন। এরপর সয়াবিনগুলো সবজির মধ্যে দিয়ে রান্না করুন। 

লেখাটি ডা. মনিরুজ্জামান ও ডা. আতাউর রহমান এর লেখা এনজিওপ্লাস্টি ও বাইপাস সার্জারি ছাড়াই ‘হৃদরোগ নিরাময় ও প্রতিরোধ’ শীর্ষক বই থেকে নেয়া। 

এমএম/