ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

বিশ্ব নৈঃশব্দ্য দিবস:

শব্দহীন নির্জনে নিজেকে খোঁজার দিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার

চারদিকে কত কথা, কত শব্দ, কত কোলাহল! ঘরে, বাইরে—সবখানে হইচই-হট্টগোল। বাসে, ট্রেনে, স্কুলে, রেস্তোরাঁয়, অফিসে, আড্ডায়, খেলার মাঠে, বাজার-হাটে—কোথাও এতটুকু নীরবতা নেই। অথচ শরীর ও মন উভয়ের জন্য নির্জনতা-নৈঃশব্দ্য অতিব জরুরি।

আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ‘নৈঃশব্দ্য দিবস’ বা ‘কোয়ায়েট ডে’। কথা, চিৎকার, কোলাহল, গোলমাল, গ্যাঞ্জাম থেকে খানিক বিরতি নিয়ে নৈঃশব্দ্যের শব্দ উপভোগের দিন। 

মাঝে মাঝে কথা বা শব্দ বিড়ম্বনা বাড়ায়। তৈরি হয় বিরক্তি। জাগে ক্লান্তি। হাজার রকম কথা আর শব্দের ভিড়ে নীরবতার অভাব বোধ করেন অনেকেই। কিন্তু ব্যস্ততার জীবনে শব্দহীনতার ফুসরত কোথায়? কোথায় সুনসান নীরবতা?

হাজার রকম শব্দের সাথেই খেলা করতে করতে মানুষের জীবন বয়ে যায়। কখনো কখনো শব্দ ছাড়া মানুষের জীবন অচল, কখনো আবার শব্দই মানুষকে অতিষ্ট করে তোলে। তাই তো খানিকটা সময় নৈঃশব্দ্যে কাটানোর একটি উপলক্ষ বের করা হয়েছে। বের করা হয়েছে নিঃশব্দে থাকার ফুসরতও।

মানবসৃষ্ট নানা শব্দে যারা অতিষ্ট তারা চলে যেতে পারেন শব্দহীন কোনো নির্জন জায়গায়। নিঃশব্দে বের করে আনতে পারেন নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা নিজেকে। কিংবা নিঃশব্দে প্রিয় কারো সানিধ্য উপভোগ করলেও ক্ষতি নেই। নীরবতারও তো শব্দ আছে, আছে আলাদা ভাষা। তাই চাইলে শব্দ না করেও বলা যায় অনেক কিছু, শোনাও যায় অনেক।

যারা শব্দের শহর ঢাকাতে থাকেন, তারা তো রীতিমতো কামনা করেন সেইসব দিনরাত্রি, যেখানে মিলবে একটু শব্দহীন প্রশান্তি। থাকবে না জঞ্জাল, কোনো কোলাহল।
সূত্র: ন্যাশনাল টুডে
এসএ/