দুই ভোলের দাম সাড়ে ১৮ লাখ টাকা!
মোংলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:১৩ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ রবিবার
বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের দুটি ভোল মাছ। এ মাছ দুইটি বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১৮ লাখ টাকায়।
ফারুক নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক দাঁতিনা ভোল মাছ দুটি। সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ‘মেসার্স জয়মনি ফিস’ আড়ৎ মালিক আল আমিন এই দুটি মাছ ক্রয় করে মোংলায় নিয়ে আসেন।
জেলে ফারুকের জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে। মাছ দুটি এক নজর দেখতে মোংলা মাছ বাজারের উৎসুক লোকজন ভিড় জমায়।
গত অক্টোবরের ৫ মাসের জন্য বঙ্গোপসাগরের দুবলার চরের আলোরকোসহ পাঁচটি চারাঞ্চলে শুটকী তৈরি জন্য মাছ আহরণে যান মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকার জেলে ফারুক হোসেন। মওসুম এখন শেষ পর্যায়, তাই এতো দিন ফারুক হোসেনের জালে তেমন কোন বড় মাছ না পেলেও শুক্রবার রাতে সাগরের গহীনে মাছ ধরতে গেলে তার জালে দুটি বড় আকারের বিরল প্রজাতির দাতিনা ভোল মাছ ধরা পড়ে।
শেষ রাতে সাগর থেকে ফিরে দুবলার চরের মৎস্য আড়তে নিলামে উঠানো হয় মাছ দুটি।
ওই নিলামে ২০ থেকে ২৫ জন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মোংলা বাজারের মাছ ব্যাবসায়ী আল আমিন মাছ দুটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন। তার মধ্যে বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম, দাম হাকা হয় ১১ লাখ এবং ছোট আকারের মাছটির ওজন ২৭ কেজি, দাম ধরা হয়েছে ৭ লকাখ ৫০ হাজার টাকা।
বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক এ মাছের প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে ২৯ হাজার ১শ’ ৩৩ টাকা।
মাছ দুটি সঠিক পদ্ধতিতে প্রসেসিং ও প্যাকেটজাত করে চট্রগ্রামের মাছের বড় বাজারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ‘জয়মনি ফিস’ আড়ৎ মালিকরা।
তবে শুধুমাত্র মাছের মূল্য যে এতোটা তা নয়, এ মাছের মধ্যে বিশেষ ধরণের ফুলকী বা প্যাটা রয়েছে। যার মূল্য কেজি প্রতি প্রায় কয়েক লাখ টাকা।
মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ও মৎস্য সমবায় সমিতি সভাপতি মোঃ আফজাল ফরাজী বলেন, দাতিনা ভোল মাছ এ অঞ্চলে খুবই কম পাওয়া যায়। মোাংলা পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে আগে দুই-একটি মাছ পাওয়া গেলেও এখন কিছু দুর্বৃত্ত জেলে সেজে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ মারার ফলে এখন আর এ মহা মূল্যবান মাছ পাওয়া যায় না। মূলত এ মাছের ফুলকী-প্যাটা ও বালিশের কারণে দাম প্রচুর বেশি। এই মাছের প্যাটা ও বালিশ বিদেশে রপ্তানী করা হয়।
এ মাছ দুটি চট্রগ্রামে আরও বেশি দামে বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এএইচ