১০ বছরেও শেষ হয়নি চার পুলিশ হত্যার বিচার (ভিডিও)
আফরোজা লুনা, গাইবান্ধা থেকে
প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার
দশ বছর আগে জামায়াত শিবিরের হাতে গাইবান্ধায় নিহত চার পুলিশ হত্যার বিচার শেষ হয়নি আজও। চার্জ গঠনের পর চলছে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
ঘরবাড়ি, মন্দির, দোকানপাট ও বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন আগুনে পুড়িয়ে দেয় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জামায়াত। ওই সময় জঙ্গী কায়দায় তারা পিটিয়ে হত্যা করে বামনডাঙ্গা ফাঁড়ির চার পুলিশকে।
নারকীয় সেই ঘটনার প্রসঙ্গ মনে করে শিওড়ে উঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয়রা জানান, দুই দিকের মিছিল এসে ফাঁড়ি থানা ঘেরাও করে। তারা ফাঁড়ির পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং মারপিট করে।
আলোচিত মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি চান স্বজনেরা।
স্বজনেরা জানান, মূল আসামিদের বিচার হবে কিনা এই শঙ্কায় ভুগছি। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নস্যাৎ করার জন্য হলেও এই ২৮ ফেব্রুয়ারির হামলার বিচার হওয়া দরকার।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, “আমরা চাচ্ছি, আইন অনুযায়ী ২৩৫ আসামির শাস্তি নিশ্চিত করা।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আশা, দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে মামলাটির।
গাইবান্ধা এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আহমেদ আবদুল্লাহ কনক বলেন, “সাক্ষীরা যে সাক্ষ্য দিয়েছে তাতে মামলা প্রমাণ হওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য আছে। মামলা সঠিকভাবে প্রমাণ করতে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হবো।”
ওই ঘটনার পর থেকে দিনটিকে সুন্দরগঞ্জ ট্র্যাজেটি দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন গাইবান্ধার মানুষ।
এএইচ