ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

প্রবাসীদের ইমো হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নিত চক্রটি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪৩ পিএম, ২ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ইমো” এ্যাপে সৌদি প্রবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নাটোরের লালপুর থেকে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ৫ জন যুবককে আটক করেছে র‌্যাব-৫।

বুধবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে লালপুর উপজেলার বালিতিতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হতে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, ৭টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৯ হাজার ৬৮০ টাকা জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলো-লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর এলাকার মৃত মহসীন আলীর ছেলে রিদুয়ান আহম্মেদ পূর্ন (২৩), মোমিনপুর গ্রামের মিল্টন আলীর ছেলে হাসিবুল হাসান শান্ত (২৪), মোহরকায়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক বুধুর ছেলে শামীম হোসেন (২২), মনিরুল ইসলামের ছেলে শুভ আলী (২১) ও বাঘা উপজেলার চক নারায়নপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে হৃদয় আলী (২১)।

র‌্যাব জানায়, ঢাকা জেলার আব্দুল মালেক (৩৭) র‌্যাব -৫ নাটোর ক্যাম্পে অভিযোগ করেন তার বোনের স্বামী মো. জাকির হোসেন (৪৫) একজন সৌদি প্রবাসী। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেরে ইমো আইডি থেকে তার বোনের ইমো আইডিতে মেসেজ আসে যে স্বামী জাকির হোসেন সৌদি আবরে বিপদে আছে তার নগদ অর্থে প্রয়োজন এবং অর্থ প্রেরণের জন্য বিকাশ নম্বর দেয়। ভূক্তভোগী উক্ত মেসেজের প্রেক্ষিতে প্রেরিত বিকাশ নম্বরে ৫৫ হাজার টাকা প্রেরণ করে। পরবর্তীতে কিছু সময় পর ভূক্তভোগী বুঝতে পারে যে, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার স্বামীর ইমো একাউন্ট হ্যাক করে প্রেরিত বিকাশ নম্বরগুলো দিয়ে তার সাথে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক অতিঃ পুলিশ সুপার মোঃ ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম দ্বয়ের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইমো হ্যাক করে প্রতারণা মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকিং চক্রের ৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। 

এসময় আটককতৃরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের “ইমো” ব্যবহারকারীদের ইমো হ্যাক করে এবং পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিচিত জন দের নিকট হতে প্রতারণা পূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিস (বিকাশ) এর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। পরে অভিযোগকারী আব্দুল মালেক বাদী হয়ে লালপুর থানায় গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
কে আই//