ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ২০ ১৪৩১

মার্চ, বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে অনবদ্য আলেখ্য (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ৩ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার | আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ৩ মার্চ ২০২৩ শুক্রবার

মার্চ, বাঙালি জাতিসত্ত্বার ইতিহাসে অনবদ্য আলেখ্য। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানায় শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের পর শুধু কাগজে-কলমেই রয়ে যায় পাকিস্তান। 

স্বাধীকারের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ বাঙালিকে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসির হাজারো নাটুকে দৃশ্য দেখেছে বিশ্ববাসী। ১৯৭১ সালের পহেলা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন পকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া! বাঙালি নয়-ক্ষমতা যেন পাঠান-পাঞ্জাবী তথা পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতেই ঘুরপাক খায়।

প্রাসাদ চক্রান্ত কেন মানবেন বাঙলার অবিসংবাদিত নেতা আর মুক্তিকামী জনতা! বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বাঙালি। পহেলা মার্চ থেকেই ঢাকাসহ সারাবাংলা কার্যত অচল হয়ে পড়ে সর্বাত্মক হরতালে। 

পশ্চিমা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সামরিক অধ্যাদেশ, গণগ্রেফতার, দমন-পীড়ন আর হত্যার বিপরীতে বাঙলা দেয় পাল্টা জবাব। নিজস্ব পতাকা, নির্দিষ্ট কর্মসূচী নিয়ে দখলে রাখে রাজপথ। ৭ মার্চের অগ্নিমন্ত্রের পর বাঙলা মূলত পরিচালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই।

জেলায় জেলায় সংগ্রাম পরিষদ, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্বাধীনতার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অচল করে দেয় কলকারখানা, অফিস-আদালত। বন্ধ করে দেয়া হয় পাকিস্তানে রাজস্বসহ সকল পণ্য পাঠানো। জাতিসংঘের কর্মকর্তাসহ সব বিদেশী নাগরিকদের বাঙলা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। 

দফায়-দফায় বিফল হয় মুজিব-ইয়াহিয়া-ভুট্টো বৈঠক। ভুট্টোর দেয়া দুইদলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর তত্ত্বও নাকচ করেন বঙ্গবন্ধু। 

শেষমেশ ২৪ মার্চের বৈঠকও ব্যর্থ হয়। নতি স্বীকার করতে অস্বীকার করেন জাতির পিতা। বাসা-বাড়ি-গাড়িতে উড়তে থাকে বাংলাদেশের পতাকা। 

২৫ মার্চ কালরাতে ৩২ নম্বরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। বেতারে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণায় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালি। অবশেষে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর মুক্ত হয় বাংলা। বীরের বেশে স্বদেশে ফেরেন ইতিহাসের মহানায়ক। 
বিস্তারিত ভিডিওতে:

এসএ/