ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

দীর্ঘ অপেক্ষার পর শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ পেল রাবিপ্রবি

রাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ৪ মার্চ ২০২৩ শনিবার

দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষার পর রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) নিজ ক্যাম্পাসে গড়ে তুলেছে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জাতীয় স্থাপনা পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীবৃন্দ। এই প্রাপ্তির ফলে শুধু নিজেদের মর্যাদা বৃদ্ধিই নয় বরং অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেকটা এগিয়ে গেল রাবিপ্রবি। 

এই স্থাপনাগুলো শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেই নয় বরং আশপাশের প্রান্তিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেও উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়েছে।

অথচ একটা সময় ছিল যখন জাতীয় স্থাপনাবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় দিবসে নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো। আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো জেলা কেন্দ্রিক জাতীয় স্থাপনার উপরে নির্ভর করতে হতো রাবিপ্রবিকে। 

এই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাবিপ্রবি নিজ ভূখণ্ডে তৈরি করেছে জাতীয় স্থাপনা। যা জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বৃদ্ধির মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা যেতেই পারে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৪ একরের ভূমির অনেকটাই এখনও অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। 

রাবিপ্রবির প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে তড়িৎ গতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রফেসর ড.সেলিনা আখতার। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্থায়ী হল তৈরি, হলের নামকরণ করা, বিভিন্ন স্থাপনা, খেলাধূলার মাঠসহ শিক্ষার্থীদের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের লক্ষে নানান কাজ। 

যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা আস্তে আস্তে দূর করে নিজেদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরছে প্রশাসন। কিন্তু এসবের পরেও যখন জাতীয় দিবসে স্থাপনাবিহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রতি শিক্ষার্থীদের যে অনীহা মনোভাব প্রকাশ পায় তার পরিবর্তন ঘাটানোর লক্ষে ও জাতীয় দিবসগুলোর গুরুত্ব, তাৎপর্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে উপাচার্য খুব দ্রুত এই জাতীয় স্থাপনাগুলো তৈরির পরিকল্পনা করেন।

এর ধারাবাহিকতায় উপাচার্যের নির্দেশনা মোতাবেক স্থাপনাগুলোর কাজ শুরু হয়ে গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ ও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শহীদ মিনারের শুভ উদ্বোধন করা হয়। সবার সঙ্গে একহয়ে এসব স্থাপনার উদ্বোধন করেন উপাচার্য।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পরে এমন জাতীয় স্থাপনা পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীবৃন্দ। জাতীয় স্থাপনা শুধু স্থাপনা নয় বরং দেশপ্রেম, নিজেদের ইতিহাস চর্চাসহ ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই বাংলাদেশকে নতুন করে বুকে ধারণ করা ও লালন করার অন্যতম অনুপ্রেরণা। 

রাবিপ্রবি শুধু পড়ালেখাতেই নয় বরং ৭১-এর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে যাবে সামনের দিকে এমন প্রত্যাশা সকলের।

এএইচ