ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাইডেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৯ পিএম, ৪ মার্চ ২০২৩ শনিবার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং গতমাসে তার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় আক্রান্ত অংশ অপসারণ করা হয়। বাইডেনের ত্বক থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত সব টিস্যু অপসারণ করা হয়। তার চিকিৎসক জানিয়েছেন এখন বাইডেনের আর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
তবে চলমান স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বাইডেনের ত্বক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আশি বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সবল আছেন এবং তিনি ‘দায়িত্ব পালনের জন্য পুরোপুরি ভালো’ আছেন।
বাইডেনের চিকিৎসক কেভিন ও’কনর গণমাধ্যমে দেয়া একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন ১৬ই ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্টের বুকের ত্বক থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে। ওয়াশিংটনের বাইরে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
“এখন আর কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই,” বলেন চিকিৎসক ও’কনর। যে জায়গা থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে সে জায়গাটি ‘চমৎকারভাবে সেরে উঠেছে’ বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের পাঠানো নোটে আরো বলা হয়েছে বাইডেনের ত্বকে যে ধরণের ক্যান্সার পাওয়া গেছে সেটি সাধারণত অন্য জায়গায় ছড়ায় না।
আমেরিকায় যে দুই ধরণের ত্বকের ক্যান্সারে মানুষ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়ে তার মধ্যে একটি হচ্ছে- বাসেল সেল কার্সিনোমা। বাইডেনের ক্যান্সারও এ ধরণের ছিল। তবে এ ধরণের ক্যান্সারের চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল।
জানুয়ারি মাসে বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেনও একই ধরণের ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তার ত্বকের তিনটি জায়গা থেকে টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি জায়গায় ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট হবার আগেও বাইডেনের ত্বক থেকে কয়েকবার ক্যান্সারে আক্রান্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
বাইডেনের চিকিৎসক ও’কনর ২০২১ সালে একটি নোটে লিখেছেন, প্রেসিডেন্টের ত্বক থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত অংশ অস্ত্রোপচার করে বাদ দেয়া হয়েছে। তার ত্বকের আর কোন অংশে ক্যান্সারের সন্দেহজনক অস্তিত্ব নেই বলে তখন জানানো হয়েছিল।
ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে, রোদে যাবার সময় শরীর ঢেকে যাওয়া এবং সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা। এমনকি শীতকালেও সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার ইতিহাস রয়েছে বাইডেনের পরিবারে। তার প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ২০১৫ সালে ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হাবার জন্য তার প্রার্থিতা ঘোষণা করবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসি