ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ইউক্রেন যুদ্ধ: বাখমুত ছাড়ছেন বেসামরিক নাগরিকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ৫ মার্চ ২০২৩ রবিবার

ইউক্রেনের বাখমুত শহরের বেসামরিক নাগরিকরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এতে সহায়তা করছেন ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। অনেকের দাবি, বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনীয় সেনাদের বাখমুত থেকে পিছু হটার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, শনিবার (৪ মার্চ) অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সাংবাদিকরা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের বাখমুতের অবশিষ্ট কিছু বাসিন্দাকে নিকটবর্তী গ্রাম ক্রোমোভে পৌঁছাতে সহায়তা করতে দেখেছেন।

আরও জানা যায়, বর্তমানে রুশ বাহিনী বাখমুতের কাছে রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সদস্যরাও ঢুকে পড়েছেন। ইউক্রেন এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাখমুত ছাড়ার কথা না বললেও, ধারণা করা হচ্ছে যে কোনো সময় এ ঘোষণা আসবে।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও পশ্চিমা বিশ্লেষকদের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বাখমুতের ঠিক বাইরে দুটি মূল সেতু ধ্বংস করেছে। যার মধ্যে একটি এ শহরকে নিকটবর্তী শহর চাসিভ ইয়ারের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়মিত টুইটার আপডেটে জানিয়েছে, বাখমুতের উত্তরাঞ্চলে রুশ যোদ্ধাদের প্রবেশ ঠেকাতে সেতুগুলো ধ্বংস করা হয়। রুশ সেনাবাহিনী ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) ওয়াশিংটন ভিত্তিক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) জানিয়েছিল, কিয়েভের পদক্ষেপগুলো বাখমুতের কিছু অংশ থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে পারে।

আল-জাজিরা বলছে, সেনাবাহিনী সাহায্য করলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাখমুত থেকে সরে যেতে বেসামরিক নাগরিকদের বেগ পেতে হচ্ছে। শনিবার শহর ছেড়ে পালানোর সময় এক নারী রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে মারাত্মক আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

নাম না প্রকাশের শর্তে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একজন প্রতিনিধি এপিকে জানায়, বর্তমানে বাখমুতের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এমনকি, সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য গাড়িতে করে শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়াটাও রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে সবাই হেঁটে শহর ছাড়ছেন।

দীর্ঘ আট মাস ধরে বাখমুতে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। কয়েক মাস আগে থেকেই মুহুর্মুহু হামলা চালিয়ে ধীরে ধীরে শহরটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা।

সূত্র: আল জাজিরা
এমএম/