স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে নতুন আইন (ভিডিও)
আহম্মদ বাবু, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৩ রবিবার
আদালতের নির্দেশ ছাড়া চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা প্রদাণকারী কাউকে গ্রেপ্তার করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার অভিযোগে হামলা ভাঙচুর করা হলে তা হবে জামিন অযোগ্য অপরাধ। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে চিকিৎসকদেরও আনা হবে জেল-জরিমানার আওতায়। স্বাস্থ্যখাতের শৃঙ্খলা ফেরানোর নতুন আইনের খসড়ায় এসব বিধান রাখা হচ্ছে।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগে হাসপাতাল বা ক্লিনিক ভাঙচুরের ঘটনা নতুন নয়। কখনো চিকিৎসককে গ্রেফতারও করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। আবার অনেক সময় চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদের চড়াও হতে দেখা যায় রোগীর স্বজনদের ওপর।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ রোগীরা। চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ২০১৪ সালে আইনের খসড়া তৈরি করে সরকার। যেখানে চিকিৎসকের সুরক্ষা ও রোগীর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের আপত্তির মুখে সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য সেবা সুরক্ষা আইন নামে আরেকটি খসড়া প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার অভিযোগে তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। রোগীর স্বজনদের সহিংস আচারণ, ভাঙচুরকে করা হয়েছে জমিন অযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি পাসের জন্য খুব শিগগিরই সংসদে তোলা হবে বলে জানান বিএমএর সভাপতি।
বিএমএ সভাপতি ডাক্তার মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, “এই সরকারের আমলে আরও দুইবার সংসদ বসার চান্স আছে। এর মধ্যে আইনটি সংসদে পাস করানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এটি পাস হলে রোগী ও চিকিৎসক দুই পক্ষের জন্য ভাল হবে বলে জানান এই চিকিৎসক নেতা।
ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, “স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি যদি করতে পারি তাহলে চিকিৎসক সমাজের লাভ হবে এবং জনগণও উপকৃত হবে।”
ছোট ছোট ভুলের কারণে চিকিৎসকদের অনেক বড় অর্জন ম্লান হয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএমএ সভাপতি বলেন, “এরকম আচরণে দুঃখ লাগে, নিজেরও খারাপ লাগে কিন্তু কাকে বলবো। একটা ঘটনায় সবকিছু ম্লান হয়ে গেল।”
এএইচ