সন্দ্বীপে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্কুল শিক্ষিকাসহ আহত ৩
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ০৪:৫৬ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৩ রবিবার
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় শিশু ও নারীসহ একই পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) ভোরে মগধরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার ভোরে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল মগধরা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে। এ সময় নগদ টাকা ও মূল্যবান গয়না বের করে দেওয়ার জন্য ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের মারধর করতে থাকে। ডাকাতরা গৃহকর্তা হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান আজিমের বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। একই সঙ্গে গৃহকর্ত্রী ও সন্দ্বীপ পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষিকা মাইমুনা খানম নিপা ও তার কন্যা শিশুকেও মারধর করে। এ সময় ডাকাতরা তাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইলসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
আহত স্কুল শিক্ষিকার ভাই তুহিন জানান, রোববার ভোরে ডাকাতদল আমার বোনের ঘরে ডাকাতি করে। তাদের ৬ জন অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য বেধড়ক মারধর করে ও কোপাতে থাকে। আমার ভগ্নিপতি আজিমের দোকানে হালখাতা চলছিল। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। পুরো ঘর তছনছ করে গেছে। আজিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
স্কুল শিক্ষিকা নিপার বড় ভাই মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফজরের নামাজের আগে ডাকাত দল ঘরে ডুকে প্রচুর মারধর করতে থাকে। আমার বোন ভগ্নিপতি ও বাচ্চাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমরা সবাই মর্মাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ডাকাতির ঘটনায় সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম এবং মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি শহীদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
কেআই//