ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২৯ ১৪৩১

সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এ ফোন, উল্টো দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৩ রবিবার

জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চেয়ে উল্টো হয়রানির ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পুলিশের এমন আচরনের বিচার চেয়ে ইংরেজী দৈনিক ডেইলী সানের বিপণন কর্মকর্তার পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। রোববার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে বিপনন কর্মকর্তা সোহেল আহমেদের মা ফরিদা ইয়াসিমন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আমার ছোট ছেলে সোহেলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তখন তার স্ত্রী তার বড় ভাইকে (হাসানুজ্জামান) মোবাইল ফোনে এ জানালে সে সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন বাসায় গিয়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি এবং হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় সোহেল নিজেকে বাঁচানোর জন্য ৯৯৯-এ ফোন দিলে গাছা থানার এ এস আই মামুন ঘটনাস্থলে যান। 

এসময় হাসানুজ্জামান তাদের পরিচিত কোন এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করলে ওই এএসআই মামুনসহ সকলে মিলে সোহেলকে মারধর করে। মারধরের ফলে নাক ও মুখ ফেটে যায়। বিষয়টি সোহেল তার বড় ভাই কোয়েলকে জানালে কোয়েলও রাতে সেখানে যায়। পরে কোয়েল সোহেলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে বলে। কিন্তু সোহেল হাসপাতালে না গিয়ে গাছা থানার ওসির কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। এমন অবস্থায় কোয়েলও থানায় যায়। এক পর্যায়ে পুলিশ দুই ভাইকেই আটক করে। পরে সোহেলকে আটকবস্থায় রেখে কোয়েলকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে ভুক্তভোগী কোয়েলের পরিবারের অভিযোগ, থানা পুলিশ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা হবে না বলে জানিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে পুলিশ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সোহেলের স্ত্রীকে দিয়ে নারী নির্যাতন মামলার পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে আরো একটি মামলা দায়ের করে।   

পরিবারের অভিযোগ, ৯৯৯ এ ফোন করে মানুষ পুলিশের সহযোগিতা পায়। আর গাছা থানা পুলিশ ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উল্টো আমাদের হয়রানী করলো। আমার ছেলেদের বিরুদ্বে মিথা মামলা দিলো। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। 

এ বিষয়ে গাছা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর দেখা যায় সোহেল তার স্ত্রীকে মারধর করেছে। পরবর্তীতে সোহেলও পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এরপর আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি। সোহেলর স্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পাশাপাশি পুলিশের ওপর চড়াওয়ের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়। তবে ভুক্তভোগী পরিবারের নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
কেআই//