তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ (ভিডিও)
আফরোজা লুনা, গাইবান্ধা থেকে
প্রকাশিত : ০২:৩২ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ। সেতুটি উন্মুক্ত হলে ঢাকার সঙ্গে কুড়িগ্রামের দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার।
বন্যা, খরা ও নদীভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষগুলোকে। বন্যা ও খরায় যাতায়াতের দূরত্ব বাড়ে, পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
তবে শিগগিরই লাঘব হতে যাচ্ছে এই দুর্ভোগের। তিস্তার বুকে ক্রমেই দৃশ্যমান তিস্তা সেতু।
২৯০টি পাইলের মধ্যে চলছে ২১৮তম পাইলের কাজ। নির্দিষ্ট সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে রাত-দিন সমানতালে চলছে কর্মযজ্ঞ।
এসসিইসি কোম্পানী কনসালটেন্ট জাকারিয়া বলেন, “আশা করছি, তিস্তা ব্রিজের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হবে। এজন্য রাত-দিন কাজকর্ম চলছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ছামিউল ইসলাম বলেন, “উত্তরবঙ্গের স্থলবন্দরগুলোতে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমবে।
একটু একটু করে গড়ে উঠছে স্বপ্নের সেতু। আর আশায় বুক বাঁধছেন দু’পাড়ের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, অনেক দিনের স্বপ্ন এই তিস্তা সেতু। আমরা সেটা পেতে যাচ্ছি।
তিস্তা সেতু চালু হলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার। বাঁচবে সময়, কমবে খরচ। সহজে যাতায়াত সুবিধা পাবেন নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও গাইবান্ধার মানুষও।
এলাকাবাসীরা জানান, গাইবান্ধ থেকে কুড়িগ্রামে যেতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন এই সেতুটি হওয়ায় ৫ থেকে ১০ মিনিটে গাইবান্ধায় পৌঁছুতে পারবো।
এলজিইডির অর্থায়নে ৭শ’ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১শ’ ৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ শুরু হয় ২০১৯ সালের শেষের দিকে।
এএইচ