মিয়ানমারে ২ গ্রামে সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে ১৭ জন নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ৭ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার
মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ধর্ষণ, শিরশ্ছেদসহ এ সময় তারা কমপক্ষে ১৭ জনকে হত্যা করেছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের নিয়াউং ইয়িন এবং টার তাইং নামের গ্রামে সেনাবাহিনী এ তাণ্ডব চালায়। মঙ্গলবার মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের রবাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিয়াউং ইয়িন এবং টার তাইং থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহের এ হামলায় জড়িত ৯০ জনেরও বেশি সৈন্য জড়িত ছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি হেলিকপ্টারে করে এসব সৈন্যকে ওই এলাকায় আনা হয়।
গণতন্ত্রপন্থী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস-এর স্থানীয় নেতা ও মিয়ানমারে স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুসারে গত বৃহস্পতিবার নিয়াং ইয়িনের একটি নদীর মধ্যে অবস্থিত ছোট দ্বীপে তিন নারীসহ ১৪ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর দুই সদস্যসহ টার তাইংয়ে আরো তিনজন পুরুষের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাদের দুজনের অঙ্গ কেটে ফেলা অস্থায় পাওয়া গেছে। একজনের মাথা কেটে ফেলা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তারা।
টার তাইং গ্রামের ৪২ বছর বয়সী মোয়ে কিয়াউ সেনাবাহিনীর হামলা থেকে বেঁচে গেছেন। কিন্তু তার ৩৯ বছর বয়সী স্ত্রী পান থাওয়াল ও ১৮ বছর বয়সী ভাগ্নে নিহত হয়েছে। ফোনে এপিকে তিনি বলেছেন, গত বুধবার সেনারা মধ্যরাতে গ্রামের ৭০ জনকে আটক করে।
মোয়ে কিয়াউ বলেন, এসময় সেনারা গ্রামের একটি দোকান থেকে বিয়ার ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করেছে।
২০১৭ সালে রাখাইনে নৃশংস জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ৭ লাখেরও বেশি সদস্য নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রপন্থীদের কঠোর হাতে দমন করছে সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এই সহিংসতাকে গৃহযুদ্ধের কাছাকাছি পরিস্থিতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সমালোচকরা বলছেন, জান্তার যুদ্ধাপরাধের সবশেষ নমুনা হলো গ্রামগুলোতে তাণ্ডব।
এমএম/